Top Ad unit 728 × 90

>
[]

3D স্টুডিও ম্যাক্স ২০১৫ রিভিউ

সবাইকে সালাম।  মনে হচ্ছে কয়েক বছর পরে নতুন টীউন করতে বসলাম। ফ্রিল্যান্সিং করি তাই কাজের প্রেসার এ আসলে আজকাল আর টেকটিউন্স এ আসা হয় না , আজকে শুক্রবার কাল পরশু ঝামেলা কম , তাই বসে পরলাম একটা টীউন করতে । হয়ত এখন থেকে টীউন করব ইনশাল্লাহ। আর আমার টীউন মানেই গ্রাফিক্স অথবা থ্রিডি রিলেটেড টীউন। আজকেও নিয়ে আসলাম থ্রিডি ম্যাক্স এর নতুন ভার্সন ২০১৫ এর আমার নিজস্ব রিভিউ নিয়ে। থ্রিডি ম্যাক্স কে পরিচয় করিয়ে দেবার নতুন কিছু নাই , ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স জগতে সবচাইতে জনপ্রিয় সফটওয়্যার প্যাকেজ এর নাম থ্রি ডী স্টুডিও ম্যাক্স। ১৯৯০ এ ডস অপারেটীং এ এর রিলিজ হওয়ার পরে ২০১৫ হচ্ছে এই সফটওয়্যার এর ২১ তম ভার্সন।


আসলে থ্রিডি ম্যাক্স যখন থেকে প্রতিবছর নতুন ভার্সন ছাড়া শুরু করল তখন থেকেই নতুন ভার্সনে আপডেট করা টা একটা পেইন হয়ে গেছে অনেকটা। কারন কোন একটা ভার্সন স্টেবল হতে হতেই আরেকটা ভার্সন রিলিজ দিচ্ছে অটোডেস্ক যা আর্টিস্ট জন্যে একটা ঝামেলা কারন  শুধুমাত্র  প্রধান সফটওয়্যার ই না , এর সাথে আপডেট করতে হয় অনেক প্লাগিন। যাই হোক আমি ভেবেছিলাম ২০১৫ ভার্সন টা স্কিপ করব। কিন্তু এর কিছু ফিচার আমার বেশ ভাল লেগে গেল আর সব প্লাগিন এর আপডেট পেয়ে যাওায় শেষ পর্যন্ত শিফট করেই গেলাম। অনেক ছোট ছোট বিষয় এই ভার্সনে আপডেট করেছে যা আপনি প্রডাকশনে গেলে অনেক সময় আর কস্ট বাচিয়ে দেয়। তাহলে চলুন কি কি ফিচার পাচ্ছেন আপনি ম্যাক্স ২০১৫ এ ...
১) সিন এক্সপ্লোরারঃ
এই ভার্সনে এই জিনিস্টা দারুন একটা আপডেট। এখন সিনের সব অব্জেক্ট/ লেয়ার খুব সহজেই হাতার কাছে পাওা যাবে আর সিলেক্ট হাইড এর বেপারগুলা অনেক আপডেটেড করেছে। তবে আপনার মনিটর যদি ওয়াইডস্ক্রিন না হয় তাহলে আপনার ওয়ারকিং এরিয়া টা একটু কমে যাবে। তাই বেপারটা খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনি ম্যাক্স ২০১৫ এ কনভার্ট হতে চান।
সিন এক্সপ্লরার -

২) প্লেসমেন্ট টূলঃ
এই নতুন ফিচারটা আমার অসম্ভব কাজে লাগবে। এটার মাধ্যমে আপনি জেকন অব্জেক্ট কে আরেকটি অব্জেক্ট এর উপরে রাখতে পারবেন অনেকটা স্ন্যাপ টূলের মত। অন্যান্য সফটওয়্যার যেমন স্কেচাপ ইত্তাদি তে এই ফিচার আগেই ছিল কিন্তু ম্যাক্স এ এটার সহজ কোন সমাধান ছিল না। যান পেয়ে গেলেন ...
প্লেসমেন্ট টূল -

৩) কোয়াড চেম্ফারঃ
প্রফেশনাল কয়ালিটর মডেল করতে হলে কোয়াড মেশ মেইন্টেইন করা কত জরুরি তা থ্রিডি আর্টিস্ট মানেই জানে। কোয়াড মেশ জিওমেট্রি কে ক্লিন রাখে। কিন্তু আপনি যখন ই চেম্ফার করতে যান তখন ই আগে ট্রায়াঙ্গল তৈরি হয়ে যেত। কোয়াড পলিগন থাকলে মডেল টা বেটার হয়, টেক্সচার করা বা আনরেপিং ও সহজ হয়।
কোয়াড চেম্ফার-

৪) পয়েন্ট ক্লাউডঃ
বেপারটা আমাদের কাছে নতুন হলেও আজকাল অনেক ক্লায়ান্ট আমাকে পয়েন্ট ক্লাউড ডাটা অফার করতে তাদের মডেল আমাকে ডেমনস্ট্রেশন করার জন্যে। ম্যাক্স ২০১৪ এও ছিল এটা কিন্তু ২০১৫ এ অনেক স্মুথ করেছে ক্লাউড প্রিভিউ তে ...

৫) পপুলেটঃ
থ্রিডি ম্যাক্স ২০১৪ এর পপুলেট থেকে ২০১৫ এর পপুলেট এর মডেল অনেক অনেক বেটার কোয়ালিটি মডেল আরটেক্সচার আর বড় কথা হচ্ছে ২০১৫ এ বসা অবস্থায় মানুষ আছে যেটা ম্যাক্স ২০১৪ এ ছিল না।

৬)  ম্যাক্স ২০১৫ এর ভিউপোর্ট  পারফরমেন্স বেটার ২০১৪ থেকে বিশেষ করে যখন অনেক বেশী টেক্সচার এনাবল্ড পলিগন থাকে সিনে । তাছাড়া ম্যাক্স ২০১৫ এর সাপোর্টেড প্লুগিনগুলা ম্যাক্স ২০১৪ থেকে বেশী স্টেবল মনে হল আমার কাছে। যেমন আমি যখন টেস্ট করি তখন  vray 3 ম্যাক্স ২০১৪ এ নেটওয়ার্ক রেন্ডারিং এ প্রব্লেম করলেও ম্যাক্স ২০১৫ স্মুথলি করা গেল সবকিছু।
তাছাড়া আরও কিছু আপডেট আছে যা আমি এখানে উল্লেখ করলাম না।
খারাপ দিকের মধ্যে বলে বলতে হয় এখনও সব প্লাগিন বের হয় নাই ম্যাক্স ২০১৫ এর জন্যে।
আপনি যদি ম্যাক্স ২০১৩ বা ২০১৪ চালিয়ে থাকেন তাহলে ২০১৫ টা আপনার পিসিতে ভালোই চলবে। আমি বেশ মজাই পাচ্ছি ২০১৫ ইউজ করে । ইউজ করতে চাইলে অবশ্যই সার্ভিস প্যাক ১ টাও ইন্সটল করে নিবেন।
3D স্টুডিও ম্যাক্স ২০১৫ রিভিউ রিভিউ করছেন Unknown তে 11:58 AM রেটিং:

No comments:

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.