Top Ad unit 728 × 90

>
[]

‘শান্তির ঘুম’ পেতে যেসব বিষয় অবশ্যই জানতে হবে আপনার



www.somoyerkonthoshfdor.com_.jpg-sleep

গত বেশ কিছু দিন ধরেই রাতে ঘুম হচ্ছে না রাজীবের । পাশে স্ত্রী স্বর্ণা যখন গভীর ঘুমে তখন রাজীব  পায়চারি করে অথবা ল্যাপটপে ফেসবুক দেখে। এভাবে প্রায় সকাল হয়ে আসে তখন রাজীবের ঘুম পায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অফিসের জন্য ঘুম থেকে উঠে তৈরি হতে হয়। ঘুম ভাল না হওয়ায় সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের ওপর।এমন গল্প আজকাল প্রায় সবার । 


ঘুম প্রতিটা প্রানীর জন্যেই গুরুত্বপূর্ন।বিজ্ঞানিরা এখনো ঘুমের রহস্যজনক প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি বের উদঘাটন না করতে পারলেও,আমরা কিন্তু সবাই ঘুমের প্রতিদিনের কার্যবিধি সম্পর্কে মোটামুটি জানি। প্রতিটি স্তন্যপায়ী প্রানী, সরীসৃ্প, উভচর, পাখি, মাছ সবাইকেই ঘুমাতে হয়।রাতভর  আরামদায়ক ঘুম হলে সকালে উঠে সারাদিন প্রাণবন্ত থাকতে পারি আমরা ।আবার উল্টোদিকে ঠিকমত ঘুম না হলে সারাদিন বৃথা, কোন কর্মচাঞ্চল্যই থাকেনা – ভালো এবং সঠিক নিয়মে ঘুমানোর উপরেই নির্ভর করে আপনার সুস্বাস্থ্য এমনকি সফলতাও । তাই  ঘুম নিয়ে একটু সচেতন আমাদের সবারই হওয়া উচিৎ। সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য আজ ঘুম নিয়ে লিভস্ট্রং ডটকম এ প্রকাশিত এমনি কিছু প্রয়োজনীয় টিপস যা বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা ।
আমরা অনেক সময় বাঁকা হয়ে, কুঁজো হয়ে, গুটিসুটি মেরে বা কখনো উপুড় হয়ে ঘুমাই। কখনো টিভি দেখতে দেখতে সোফায় শুয়ে পড়ি, সেখানেই ঘুমিয়ে যাই। এগুলো কি আদৌ ঠিক?, এমন প্রশ্নের জবাবে  বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব প্রাত্যহিক কর্ম বেঠিক হলে তার জন্য বেশ চড়া মাশুলই দিতে হয়। বেশির ভাগ মেরুদণ্ড ও পেশিজনিত ব্যথা-বেদনার মূল কারণ হলো আমাদের শোয়া-বসাসহ দৈনন্দিন কাজকর্মের কিছু মন্দ অভ্যাস।
আমেরিকান চিরোপ্র্যাকটিক অ্যাসোসিয়েশন দুই ধরনের ঘুমানোর পদ্ধতিকে ভালো বলছে। চিত হয়ে শোয়া এবং কাত হয়ে যেকোনো একদিকে ফিরে শোয়া। তবে এর মাঝেও অনেক কিন্তু আছে।
8b9c38040609facb4ccff29404fe8e8b-Untitled-4

আসুন, জেনে নিই ঘুমানোর কিছু সঠিক কায়দাকানুন।

ঘুমানোর জন্য মোটামুটি শক্ত বিছানা বা গদিই ভালো। বেশি নরম তুলতুলে বিছানায় শুলে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক ‘কার্ভ’ বা বক্রতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বালিশের পুরুত্ব হতে হবে স্বাভাবিক। খুব মোটা নয়, খুব পাতলাও নয়। বালিশের সঠিক পুরুত্ব বুঝতে চাইলে বালিশে মাথা দিয়ে পাশ ফিরে শোবেন, দেখুন মুখটা বিছানার সঙ্গে সোজা বা সমান্তরাল আছে, নাকি উঁচু বা বেশি নিচু হয়ে গেছে। যে বালিশে মুখ বিছানার মোটামুটি সমান্তরাল থাকবে, সেটি আপনার জন্য সঠিক বালিশ।
চিত হয়ে শোবার কারণে অনেকে নাক ডাকে, শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে; বিশেষ করে মোটা মানুষদের। চিত হয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ডের জন্য ভালো হলেও, তাঁদের তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পাশ ফিরে শোবার ফলে পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে ও গলা জ্বলে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। যাঁদের এমন হয় তাঁরা বেশি সময় বা শুরুতেই ডান দিকে শোবেন না। যাঁরা পাশ ফিরে ঘুমাতে অভ্যস্ত, তাঁরা দুই হাঁটুর মাঝে একটা কোলবালিশ নিতে পারেন। বিজ্ঞানীদের মতে, শোবার সবচেয়ে খারাপ পদ্ধতি হলো গুটিসুটি ও গোল হয়ে শোয়া।
ঘুমানোর জন্য সব সময় আপনার শোবার ঘর, বিছানা ও বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। সোফায় বা যেখানে-সেখানে শুয়ে পড়াটা কোনো ভালো অভ্যাস নয়। শুয়ে অথবা আধশোয়া হয়ে টিভি দেখা, লেখালেখি, কম্পিউটারে কাজ করা এড়িয়ে চলুন। এগুলোর জন্য চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করুন। অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে পারলে হাড় ও পেশিজনিত ব্যথা অনেকটাই দূর হয়ে যেতে পারে।
liquid-mind-viii-sleep

পরামর্শ:
১. যাঁরা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা গদির নিচে একটা শক্ত বোর্ড রাখতে পারেন।
২. উপুড় হয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ড ও স্নায়ুরজ্জুর জন্য খারাপ। এতে পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
৩. রাতে কয়েকবার পাশে ফেরা ভালো। এতে একদিকের হাত ও পায়ের ওপর চাপ কমে।
৪. গর্ভবতী মায়েদের বাঁ কাত হয়ে শোয়া ভালো। এতে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ে।

‘শান্তির ঘুম’ পেতে যেসব বিষয় অবশ্যই জানতে হবে আপনার রিভিউ করছেন Abdullah Al Mamun তে 8:35 AM রেটিং:

No comments:

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.