শীতে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা!
আমরা
সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকি তাই সারাদিনের ক্লান্তি ও ময়লা দূর
করে আমাদের সজিব ও সুস্থ রাখতে গোসল অপরিহার্য। ব্যক্তিগত পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসলের কোনো বিকল্প নেই কিন্তু এই হাড় কাঁপানো শীতে গোসল
করবেন কীভাবে? গায়ে পানি ঢালতে ভয় লাগে, কি করা যায়? অনেকেই আছেন যারা
গরমকালে দুই থেকে তিনবার গোসল করেন আর শীতকালে দুই-তিনদিন পর গোসল করেন, যা
মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। দেহমন সুস্থ্য রাখতে শীতকালেও নিয়মিত গোসল করা
উচিৎ। সবসময় সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকতে নিয়মিত গোসলের কোনো জুড়ি নেই।
শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি।কিন্তু গরম পানিতে
গোসল করা কতোটা স্বাস্থ্যকর তা বিবেচনা করি না। শীতকালে আমাদের শারীরিক
অবস্থা ও বয়সের ধরনের ওপর গোসলের পানি নির্বাচন করা দরকার। গোসলের পানির
তাপমাত্রা সহনীয় ও আরামদায়ক হতে হবে। বৃদ্ধ, শিশু এমনকি যাদের শরীর দুর্বল
তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। ঠাণ্ডা, কাশি, সাইনাস ও বাতের ব্যথার
সমস্যা থাকলে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়। এতে শরীরের রক্ত
চলাচলের গতি বেড়ে যায়। ফলে মাথাব্যথাসহ অন্যান্য ব্যথা দূর হয়। এছাড়া গরম
পানিতে গোসল করলে শরীরের বন্ধ লোমকূপ খুলে যায়। ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে
ত্বককে মসৃন ও কোমল করে তোলে। সারাদিনের কাজ শেষে হালকা গরম পানির গোসল
আপনাকে পূর্ণ ঘুমের নিশ্চয়তা দিতে পারে। গরম পানির গোসল হচ্ছে এক ধরনের জল
চিকিৎসা। তবে মাঝে মাঝে তা ক্ষতির কারণও হতে পারে। যাদের লিভারের সমস্যা,
শরীর জ্বালাপোড়া ও বদহজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করাই
শ্রেয়। অধিকাংশ সময় যারা কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন তাদেরও ঠাণ্ডা পানিতে
গোসল করা ভালো। গোসলের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ও পানির তাপমাত্রা সমান
রাখা উচিৎ। গোসলের আগে হালকা ব্যয়াম করা ভালো।
গরম পানির গোসল হচ্ছে জলচিকিৎসা, যা সব সময়ই ভালো। তবে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে যদি এর ব্যবহারে গড়বড় করে ফেলেন। মনে রাখতে হবেঃ-
১. অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে আরামদায়ক উষ্ণতার পানিতে গোসল সারতে হবে কখনো পানি অতিরিক্ত গরম হবে না ।
২. গর্ভবতী নারীদের ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে ওঠা উচিত নয়।
৩. যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের জন্য অধিক উষ্ণতায় গোসল আত্মহত্যার সমতুল্য।
৪. সারাদিন পরিশ্রমের পর বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
৫. গরম পানি প্রথমে গায়ে ঢালুন। হাতে, পায়ে আর মাথায় নিন ঠাণ্ডা পানি । মাথা বা হাত বা পা অথবা তিনটিই গরম পানি থেকে দুরে রাখবেন। কারণ অধিক তাপ সাধারণত দেহের ওই তিন অংশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
২. গর্ভবতী নারীদের ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে ওঠা উচিত নয়।
৩. যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের জন্য অধিক উষ্ণতায় গোসল আত্মহত্যার সমতুল্য।
৪. সারাদিন পরিশ্রমের পর বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
৫. গরম পানি প্রথমে গায়ে ঢালুন। হাতে, পায়ে আর মাথায় নিন ঠাণ্ডা পানি । মাথা বা হাত বা পা অথবা তিনটিই গরম পানি থেকে দুরে রাখবেন। কারণ অধিক তাপ সাধারণত দেহের ওই তিন অংশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
তাই শীতের দিনে গরম পানির গোসল আপনাকে রাখতে পারে তরতাজা এবং সতেজ।
শীতে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা!
রিভিউ করছেন Unknown
তে
11:10 PM
রেটিং:
No comments: