ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে
একদিকে
গরমের যন্ত্রণা, তার উপর আবার ঘামাচির উপদ্রব। দুই মিলিয়ে জীবন প্রায়
অতিষ্ঠ। এই দুই থেকেই নিস্তার পেতে আপনি অবলম্বন করতে পারেন কিছু উপায়।
আসুন জেনে নিই ঘরোয়াভাবে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে।
ঘামাচি কেনো হয়?
দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন
ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি তৈরী হয়। সাধারণত পিঠ, বাহু,
পেট এসব স্থানে ঘামাচি দেখা দিলেও অনেকের মুখে, কপালেও অতিরিক্ত গরমে
ঘামাচি দেখা দেয়। এটি শুধু দেখতেই বিচ্ছিরিই নয়, বরং এর সাথে যুক্ত হয়
চুলকানি বা নানা রকম সংক্রমণ।
বরফ
ঘামাচি আক্রান্ত জায়গাটিতে খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু তিন বার করুন। দেখবেন, খুব জলদিই সেরে যাবে ঘামাচি।
মুলতানি মাটি
৪-৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২-৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমান মত পানি
মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরী করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগান ও
২-৩ ঘন্টা রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা পানি
ঠান্ডা পানিতে একটি পরিস্কার সুতি কাপড় ভেজান। তারপর সেটি তুলে আক্রান্ত
জায়গায় লাগান যতক্ষণ না জায়গাটি পানি শুষে নিচ্ছে। এভাবে দিনে ২-৩ বার
করুন। এতে ঘামচি দ্রুত সেরে উঠবে।
বেকিং সোডা
১ কাপ ঠান্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিস্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
নিম পাতা
নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিন। খানিকটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন এবং
আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিমপাতার
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচির জীবানু মেরে ফেলে দ্রুত আপনাকে ঘামাচি
থেকে মুক্তি দেবে। কিছুক্ষণ পর তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবার জন্যে দিনে
৪-৫ বার এটি করতে পারেন।
লেবুর রস
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে। এটি ঘামাচি নিরাময়ে কাজ করবে স্রেফ জাদুর মতই!
এলোভেরা
এলোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকোনো পর্যন্ত। এরপর ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নিন।
ব্যস, এবার দেখুন আপনার হাতের কাছে কোন উপাদানটি সবচেয়ে সহজলভ্য, আর সেটি
দিয়েই শুরু করে দিন ঘামাচির বিরুদ্ধে লড়াই। জয় আপনার নিশ্চিত!
ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে
রিভিউ করছেন Unknown
তে
9:46 PM
রেটিং:
No comments: