টিপস ওয়ার্ল্ড এক্সক্লুসিভ যেভাবে পছন্দের নারীকে প্রেম নিবেদন করবেন

অনেক দিন ধরে হয়তো আপনি মনে মনে একটি মেয়েকে  ভালোবাসেন। কিন্তু সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারছেন না, ভালোবাসার মাত্র ৩ শব্দের কথাটি কিভাবে তাকে বলবেন । অথচ প্রতিনিয়ত মনের মধ্যে তাকে হারাবার ভয়। তাই আপনাকেই বলছি, খুব বেশি দেরী না করে যত তারাতারি পারেন সাহস করে মেয়েটিকে বলে ফেলুন আপনার মনের মধ্যে লুকান কথাটি। "আমি তোমাকে ভালোবাসি"...শুনতে খুব সহজ মনে হলেও আসলে এটা এমন একটি কথা যে যখন তখন চাইলেও বলে ফেলা যায় না। প্রথমবার এ কথাটি বলতে গেলে হয়তো জড়তা, সংকোচ, "না" শোনার ভয় মনকে আঁকড়ে ধরে। ভালবাসার মানুষটিকে প্রেমের প্রস্তাবটাই এমনভাবে দিতে হয় যেন সে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং ফিরিয়ে দিতে না পারে তাই না? এজন্য ভালোবাসার এই প্রথম প্রকাশ ভীষণ সুন্দর ও স্মৃতিময় হওয়া উচিত, কেননা বাকি জীবনে এই স্মৃতিই আপনারা অসংখ্যবার স্মরণ করবেন। পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর তিন শব্দের এই বাক্যটি কী আর হেলাফেলা করে বললে চলে? আসুন জেনে নেয়া যাক পছন্দের মানুষটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার অভিনয় উপায়গুলো:-

বজায় রাখুন নিজের ব্যক্তিত্বঃ
নিজের ব্যক্তিত্বের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করা উচিত নয়। কোন সেলিব্রিটির অনুকরণ না করে নিজের ব্যক্তিত্বসুলভ আচরণ করুন। ধরুন, আপনি মানুষটা যদি একটু হাস্যজ্জল প্রকৃতির হয়ে থাকেন তাহলে প্রপোজ করার সময় অযথাই ভাবগম্ভীর আচরণ করার চেষ্টা না করাই ভাল। নিজের মত আচরণ করুন এবং নিজের কাছে ভাললাগে এমন পোষাক পরিধান করুন। মেয়েরা ব্যক্তিত্ববান মানুষদের বেশি পছন্দ করে।

কোথায় দেখা করবেনঃ
সঙ্গিনীকে নিয়ে যেতে পারেন যেখানে আপনাদের প্রথম দেখা হয়েছিল সেই স্থানটিতে। একটা সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণের পরই প্রপোজ করে ফেলুন। সেটা করতে না পারলেও এমন একটা নির্জন স্থান নির্বাচন করুন যেখানে খুব একটা ভিড়ভাট্টা নেই এবং পার্কের মতো খুব সুন্দর একটা মনোরোম পরিবেশে।

ক্যান্ডেল লাইট ডিনারঃ
হলো এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। ক্যান্ডের লাইট ডিনারে মোমবাতির আলো-আধারি পরিবেশ এবং সেই সাথে কোন রোমান্টিক মিউজিক। সবচাইতে ভালো হয় যদি ২/৩ ঘন্টার জন্যে কোন রেস্টুরেন্টের একটা কর্নার রিজার্ভ করে ফেলতে পারেন। এমন একটা রোমান্টিক পরিবেশে আপনার সঙ্গিনী রাজি না হয়ে পারবেই না।

বেছে নিন কোনো বিশেষ দিনঃ
প্রপোজ করার জন্যে কোন একটা বিশেষ দিন বেছে নিন। যেমন ধরুণ, ভ্যালেন্টাইনস ডে, পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফাস্ট ডে অথবা আপনার পছন্দের মেয়েটির শুভজন্মদিন। তবে সেই সাথে সঙ্গিনীর মানসিক অবস্থা বিবেচনায় রাখতে ভুলে যাবেন না। তিনি কোনো বিষয় নিয়ে বিরক্তিতে বা বিষন্নতায় ভুগলে ঐ সময়টুকু পার হতে দিন, আর ততক্ষণ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকুন।

জন্মদিনের সারপ্রাইজঃ
জন্মদিনের দিন প্রিয় মানুষটির মন এমনিতেই অনেক ভালো থাকে। তাই এই দিনটি ভালোবাসার কথা জানানোর জন্য একটি উপযুক্ত দিন। প্রিয় মানুষটির জন্মদিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য উপহার ও ফুল নিয়ে যান। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো ও উপহার দেয়ার পর দিনের কোনো একটি সুবিধাজনক সময়ে তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। সেই সঙ্গে এটাও বলুন যে তাকে ভালোবাসার কথাগুলো জানানোর জন্য বিশেষ দিন হিসাবে আপনি জন্মদিনটিকেই বেছে নিয়েছেন।

মোমবাতি ও ফুলঃ
ভালবাসার মানুষটিকে চমকে দেয়ার জন্য একটু কষ্ট করতে হলে করে ফেলুন না। প্রিয় মানুষটিকে সারা জীবনের জন্য নিজের করে নেয়ার জন্য প্রেমের প্রস্তাবটা একটু আলাদা ভাবে দিন। খোলা মাঠে, ছাদে কিংবা ঘরেই মোম বাতি দিয়ে হার্ট আকৃতি তৈরী করে ফেলুন। এরপর মাঝে লাল গোলাপের পাপড়ী ছড়িয়ে দিন। প্রিয় মানুষটিকে সেই স্থানে ডেকে আনুন এবং মোমবাতিগুলো আগেই জ্বালিয়ে রাখুন। এরপর সে আসলেই বলে দিন আপনার ভালোবাসার কথাগুলো।  

কেক-এ লিখুনঃ
হঠাৎ করে একদিন বিশাল একটি কেকে আপনার ভালোবাসার কথা লিখে নিয়ে যেতে পারেন প্রিয় মানুষটির কাছে। কেকে লেখা ভালোবাসা প্রকাশের কথাগুলো দেখেই চমকে যাবে আপনার প্রিয় মানুষটি।

এফ এম রেডিওঃ
আজকাল অনেকেই নিয়মিত এম.এম.রেডিও শুনে থাকে। আপনার পছন্দের মানুষটির যদি এফ.এম. রেডিও শোনার অভ্যাস থাকে তাহলে তাকে এফ.এম. রেডিও-তেই ভালবাসার কথাটি জানিয়ে দিতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে তার পছন্দের অনুষ্ঠানের সময়সূচী জেনে নিন। এরপর নিশ্চিত হয়ে নিন যে সেই অনুষ্ঠানটি আপনার পছন্দের মানুষটি সেই সময়ে শুনছে। এরপর রেডিও প্রোগ্রামের ফোন নম্বর জেনে নিয়ে যথা সময়ে ফোন দিন গুছিয়ে বলে দিন মনের কথাগুলো। প্রয়োজনে রেডিও জকির সাহায্য নিতে

স্ক্র্যাপবুকঃ
নিজেদের বিভিন্ন সময়ের ছবি, এসএমএস ও অন্যান্য কিছু স্মৃতি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি স্ক্র্যাপবুক। স্ক্র্যাপবুক বানানোর জন্য একটি স্ক্র্যাববুক কিনে নিতে পারেন। এরপর সেটার পাতায় পাতায় ছবি ও স্মৃতিময় জিনিসগুলোকে আঠা দিয়ে আটকে দিন।স্ক্র্যাপবুকের শেষের পাতায় লিখে দিন আপনার ভালোবাসার কথাগুলো।

চিঠিঃ
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে যদিও চিঠির আদান প্রদান তেমন একটা নেই। তবুও মনের ভাব প্রকাশের জন্য একটি চিঠির আবেদন সব সময়েই অমলিন। নীল খামে পাঠিয়ে দিন সেই সাথে সুগন্ধী আর ফুলের পাপড়ি যোগ করতে ভুলবেন না যেন।

আংটিঃ
আপনার পছন্দের নারীর আঙ্গুলের আনুমানিক মাপ অনুয়ায়ী একটা সুন্দর ডিজাইনের আংটি বানিয়ে নিতে ভুলে যাবেন না। একটা নতুন সম্পর্ককে বাঁধার অদ্ভুত সুন্দর প্রতীক হিসাবে এই আংটির জুড়ি নেই। প্রথমে সঙ্গিনীকে চোখ বন্ধ করতে বলুন। তারপর চোখবন্ধ অবস্থায় তার হাতে পরিয়ে দিন সুন্দর ডিজাইনের এই আংটিটি। অতঃপর চোখ খুলতে বলুন। এবার দেরী না করে তিন শব্দের কথাটি বলে ফেলুন।

প্রপোজের ভাষাঃ
প্রপোজের সময় ভাষার ব্যাপারে সচেতন থাকুন। যে বাক্যগুলো সরাসরি বলতে পারেন, “উইল ইউ ম্যারী মি?” অথবা “আমি তোমার হাতটা সারাজীবনের জন্যে ধরতে চাই”, “তুমি কী আমার জীবনসঙ্গিনী হবে?’, অথবা আপনার পছন্দমত যে কোন কিছুই হতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, তা যেন মেয়েটির মন ছুঁয়ে যায়।

হাঁটু গেড়ে বসুনঃ
প্রপোজের সময় সম্ভব হলে সঙ্গিনীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসুন। প্রতিটি মেয়েই এ বিষয়টিকে ভিষণ পছন্দ করেন। তার হাতটা নিন নিজের হাতে, অতঃপর বলে ফেলুন আপনার মনের কথাটি। দেখবেন, মিষ্টি হাসির সম্মতি অপেক্ষা করছে আপনারই জন্যে।

সময় নিনঃ
প্রপোজ করার আগে একটু সময় নিন। বিভিন্ন ধরনের রোমান্টিক কথা বলুন, একসাথে সময় কাটান ও সঙ্গিনীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। যখন বুঝতে পারবেন আপনার প্রতি তার একটা সফট কর্নার তৈরী হয়ে গেছে, ঠিক তখনই প্রপোজ করুন। তার আগে নয়।