Top Ad unit 728 × 90

>
[]

কাজ ও প্রেম একইসাথে


ব্রিটিশদের মধ্যে এক জরিপে দেখা যায় শতকরা ৮০ ভাগ ব্রিটিশ অফিসে প্রেম করতে রাজি আছেন। তাদের মধ্যে ৭৩ ভাগ নারী অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে প্রেম করাটাকেই শ্রেয় মনে করেন। বাংলাদেশেও এই বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই অফিসে কাজ করতে করতে কাজের ফাঁকে একে অপরের সাথে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক কখনও কখনও গড়ায় প্রেম-ভালোবাসায়।  
 
অফিসে প্রেম করার কিছুটা সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। সুবিধার মধ্যে রয়েছে – সারাদিন কাজ শেষে সঙ্গীকে আলাদা সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরের কাছাকাছি থাকায় দুজনের মধ্যে তেমন দূরত্ব তৈরি হয় না। সারাদিন কাছাকাছি থাকার ফলে দুজনের ভালো লাগা, মন্দ লাগা এই বিষয়গুলো খুব সহজেই জানা যায়। অফিসের নানা ঝুট-ঝামেলায় একে অপরের সাহায্যে বিশেষভাবে এগিয়ে আসা প্রভৃতি।

 
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পাড়া-মহল্লার প্রেমের মতো অফিসের প্রেমের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন – অনেক সময় অফিসের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে অফিসে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি চাকরিও চলে যেতে পারে। তাই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে অফিস সহকর্মীও হয়ে উঠতে পারেন জীবনের সহকর্মী।
 
কাজকেই প্রথমে প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা অফিস সবার আগে কাজের জায়গা। আগে কাজ তারপর অন্য কিছু। প্রেমের জোয়ারে অতিরিক্ত গা ভাসিয়ে কাজকে তুচ্ছজ্ঞান করা কিছুতেই উচিত নয়। যদি সম্ভব হয় সম্পর্কটাকে গোপন রাখার চেষ্টা করাই ভালো। কেননা অনেক অফিসেই এ ধরনের সম্পর্ক ভালোভাবে দেখা হয় না। অফিসে এক সহকর্মীর সাথে অন্য সহকর্মীর এ ধরনের কোনো সম্পর্ক হলে কেউ কেউ উৎসাহ দিবে আবার কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হবে। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে অফিসে এমন আচরণ না করাই ভালো যাতে করে সহকর্মীদের মধ্যে আপনাদের নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আর দশজন সহকর্মীর সাথে যেরকম আচরণ করবেন নিজেদের মধ্যেও সেই রকম আচরণ করাই ভালো। অফিসে এমন কোনো আচরণ করা ঠিক নয় যা অফিসের পরিবেশ নষ্ট করে ও দৃষ্টিকটু হয়। আরেকটা বিষয় হলো – অনেকে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে চাকরি করার নিয়ম নেই। তাই এরকম কোনো বিষয় থাকলে আগে থেকেই যেকোনো একজনকে চাকরি ছাড়ার মনমানসিকতা ঠিক করতে হবে। এই বিষয়গুলো ঠিক না করে সম্পর্ক বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে না যাওয়াই ভালো।
 
অনেক সময় দেখা যায় কাজের ক্ষেত্রে একে অপরকে ছাড় দেয়। এতে নিজের পেশাগত দক্ষতাকে যেমনিভাবে ছোট করা হয় তেমনিভাবে অফিসে নিজের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। আর একটা বিষয় হলো অফিসে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে অফিস ফোন, ই-মেইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। কেননা অফিস ফোন ও ই-মেইল অনেকেই ব্যবহার করেন। অফিস ফোন অতিরিক্ত সময় ব্যস্ত রাখলে অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাঘাত ঘটবে আর অফিস ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যকার বিষয়গুলো সকলের মধ্যে জানাজানি হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
আর একটা বিষয় হলো অনেকেই বলেন – স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে কাজ করলেও একই বিভাগে কাজ না করাই ভালো। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যও এই বিষয়টি পালনীয়। আর হঠাৎ করে আপনাদের নিয়ে অফিসের মধ্যে তৈরি হওয়া কোনো জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য সম্ভব হলে অফিসের কোনো উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কের বিষয়টি শেয়ার করতে পারেন।
 
পরিশেষে অফিস প্রেমিক জুটিদের জন্য শুভকামনা রইলো। আশা করি কাজে সফলতার সাথে সাথে প্রেমেও সফলতা অর্জন করবেন আপনারা।
কাজ ও প্রেম একইসাথে রিভিউ করছেন Abdullah Al Mamun তে 8:02 AM রেটিং:

No comments:

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.