লুঙ্গি পরে চাঁদে যাওয়া কি সম্ভব?
আমরা বাঙ্গালী মানুষ, সংস্কৃতি আমাদের গায়ের চাঁদর। রক্তে মিশে রয়েছে
সংস্কৃতির ধারা। অনেকগুলো সংস্কৃতির মাঝে লুঙ্গিও একটি বাঙ্গালী সংস্কৃতি,
একটি বাঙ্গালীমনার পরিচায়ক। সে বাঙ্গালী বিজ্ঞান নিয়ে কল্পনা-জল্পনা করলে
তো তাঁর সংস্কৃতিমনা ভাব থাকতেই পারে। লুঙ্গি পরে চাঁদে যাবার ইচ্ছা হতেই
পারে। চাঁদে গিয়ে ফলমূল শাক-সবজি খেতেই পারে! আরে, ফলমূল শাকসবজি মনে হয়ে
না ওখানে খাওয়া সম্ভব, বড়জোর ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া খেতে পারবে। তবে তারা
খাবার হিসেবে ব্যাঙের ছাতা নামক ছত্রাকই খাক আর যাই খাক সেটা পরে দেখা
যাবে। এবার দেখা যাক লুঙ্গি পরে চাঁদে যাওয়া যাবে কিনা? বা আদৌ সম্ভব
কিনা?!
না! লুঙ্গি পরে চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়। যদি কেও লুঙ্গি পরে চাঁদে যেতে চায় তো যেতে পারবে কিন্তু সে জানে ফিরে আসতে পারবে না। শরীরের হাড়গোড়ের মাঝে যদি প্রাণ থাকা সম্ভব হত তবে সে প্রাণসমেত যান নিয়ে ফিরে আসতে পারত। শরীর নিয়ে আর ফিরে আসা লাগবে না।
প্রত্যেকটা মানুষের শরীরই অসংখ্য কোষ নিয়ে গঠিত। সেই প্রতিটি কোষে আছে কোষ গহ্বর। প্রত্যেকটা কোষের কোষ গহ্বর প্রচণ্ড চাপে বাইরের দিকে চাপ দেয়। এই চাপের ফলেই আমরা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারি।
আমরা ডুবে আছি বায়ুর সমুদ্রে। আমাদের মাথার উপর মাইলের পর মাইল বায়ুতে ভর্তি। বাতাসের তো ওজন আছে, সে ওজন দারুণভাবে চাপ দিচ্ছে আমাদের সকলের উপর। এক সের দুই সের ওজনের চাপ নয়, মনের পর মন টনের পর টন সে চাপ!
এত যে চাপ দিচ্ছে তারপরও আমরা সে চাপ নিয়ে চলছি কি করে? চলছি সে কোষ গহ্বরের সাহায্যে। কোষ গহ্বরের বাইরের দিকের চাপ আর বায়ুর ভেতরের দিকের চাপ কাটাকাটি হয়ে যায়। তাতেই আরাম আয়েশে কেটে যায় আমাদের জীবন।
চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, এখন কেউ যদি চাঁদে যায় তবে সেখানে বায়ুমণ্ডল থাকুক না থাকুক কোষের সাথে সাথে কোষ গহ্বরের চাপ তো আছেই! সেই ভেতরের চাপে কোষগুলো সব বাইরের দিকে ছিটকে বেড়িয়ে আসবে। মারা যাওয়া আবশ্যক। আর দেহের রক্তনালীতে যে রক্তচাপ দেয় তাতে মুহূর্তেই ছিঁড়ে যাবে সে নালী। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে কিছু বুঝার আগেই মারা পড়বে!
আর এজন্যই মহাকাশচারীদের যাত্রার সময় দেখা যায় বিশেষ পোশাক পরতে। বিশেষ এই শক্ত পোশাকে চলাফেরা করা খুব কষ্টকর। একদমই আরামদায়ক নয়। কিন্তু তারপরও পরতে হয় এই পোশাক। এই স্পেসশুটের ভেতরে কৃত্রিম ভাবে চাপ বজায় রাখা হয়।
@একবার যদি কেউ বিশেষ পোশাকের নিচের অংশটার বদলে লুঙ্গি পরে যায় তবে সে ক্ষেত্রেও চাপ বজায় রাখা সম্ভব নয়। লুঙ্গি পরে সুস্থভাবে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। বিপদ আসন্ন যেন!
আর চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই ফলে সাধারণ পোশাক পরে গেলে নানা ক্ষতিকর বিকিরণে দেহের বারোটা বাজতে পারে। আবার অত্যাধিক ঠাণ্ডা কিংবা গরম থেকে বাঁচায় স্পেস শুট। সেখানে ভিতরে কৃত্রিম ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পোশাকে এমনকি পশ্রাব করার জন্যও ভাল সুবিধা রাখা থাকে। লুঙ্গি পরলে যেটা পাওয়া যায় না।
তবে হ্যাঁ, কেও যদি মূল স্পেসশুটের উপরে অতিরিক্ত হিসেবে লুঙ্গি পরে তবে তাতে সামান্য সংখ্যক অসুবিধা ছাড়া আর কিছু হবার কথা নয়। সেভাবে করলে করা যেতেও পারে।
আসলে এই সবটাই আমার উর্বর মস্তিষ্কের অনুর্বর কল্পনা। লুঙ্গি পরে ওখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। মাথার ঘাম মাথায় রেখেই এটা লেখা হয়েছে।
পুনশ্চ ১ :
এই জিনিসটার বাস্তব একটা প্রয়োগ আমরা পৃথিবীতে বসেই দেখতে পাই। সমুদ্রের একদম গভীরে যেসকল মাছগুলো বাস করে তাদেরকে জীবিত ভাবে উপরে আনা যায় না। অল্পতেই মারা যায়। এর কারণটা হল তরলের গভীরতা যত বাড়ে তাঁর চাপও বাড়ে তত। গভীর জলের মাছেরা বেশি চাপে থেকে অভ্যস্ত, সেই বেশি চাপ থেকে অল্প চাপে আনলে সেটা সয়ে ওঠতে পারে না তারা। ফলে মারা যায়।
পুনশ্চ ২ :
মানুষের মাঝেও এই ব্যাপারটার বাস্তব উদাহরণ পৃথিবীর মাটিতেই পাওয়া যায়। পর্বতারোহীরা যখন এভারেস্ট বা এমন উঁচু চুড়ায় ওঠে তখন কারো কারো নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। কারণ পৃথিবী থেকে যত উপরে ওঠা যায় ততই বায়ুর চাপ কমতে থাকে। সে সকল লোকের নাকের কোষের প্লাজমা মেমব্রেন এতটা শক্ত নয় যেটাতে সামান্য কয়েক মাইল উচ্চতাতেই সে কোষ ফেটে যায়।
না! লুঙ্গি পরে চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়। যদি কেও লুঙ্গি পরে চাঁদে যেতে চায় তো যেতে পারবে কিন্তু সে জানে ফিরে আসতে পারবে না। শরীরের হাড়গোড়ের মাঝে যদি প্রাণ থাকা সম্ভব হত তবে সে প্রাণসমেত যান নিয়ে ফিরে আসতে পারত। শরীর নিয়ে আর ফিরে আসা লাগবে না।
প্রত্যেকটা মানুষের শরীরই অসংখ্য কোষ নিয়ে গঠিত। সেই প্রতিটি কোষে আছে কোষ গহ্বর। প্রত্যেকটা কোষের কোষ গহ্বর প্রচণ্ড চাপে বাইরের দিকে চাপ দেয়। এই চাপের ফলেই আমরা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারি।
আমরা ডুবে আছি বায়ুর সমুদ্রে। আমাদের মাথার উপর মাইলের পর মাইল বায়ুতে ভর্তি। বাতাসের তো ওজন আছে, সে ওজন দারুণভাবে চাপ দিচ্ছে আমাদের সকলের উপর। এক সের দুই সের ওজনের চাপ নয়, মনের পর মন টনের পর টন সে চাপ!
এত যে চাপ দিচ্ছে তারপরও আমরা সে চাপ নিয়ে চলছি কি করে? চলছি সে কোষ গহ্বরের সাহায্যে। কোষ গহ্বরের বাইরের দিকের চাপ আর বায়ুর ভেতরের দিকের চাপ কাটাকাটি হয়ে যায়। তাতেই আরাম আয়েশে কেটে যায় আমাদের জীবন।
চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, এখন কেউ যদি চাঁদে যায় তবে সেখানে বায়ুমণ্ডল থাকুক না থাকুক কোষের সাথে সাথে কোষ গহ্বরের চাপ তো আছেই! সেই ভেতরের চাপে কোষগুলো সব বাইরের দিকে ছিটকে বেড়িয়ে আসবে। মারা যাওয়া আবশ্যক। আর দেহের রক্তনালীতে যে রক্তচাপ দেয় তাতে মুহূর্তেই ছিঁড়ে যাবে সে নালী। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে কিছু বুঝার আগেই মারা পড়বে!
আর এজন্যই মহাকাশচারীদের যাত্রার সময় দেখা যায় বিশেষ পোশাক পরতে। বিশেষ এই শক্ত পোশাকে চলাফেরা করা খুব কষ্টকর। একদমই আরামদায়ক নয়। কিন্তু তারপরও পরতে হয় এই পোশাক। এই স্পেসশুটের ভেতরে কৃত্রিম ভাবে চাপ বজায় রাখা হয়।
@একবার যদি কেউ বিশেষ পোশাকের নিচের অংশটার বদলে লুঙ্গি পরে যায় তবে সে ক্ষেত্রেও চাপ বজায় রাখা সম্ভব নয়। লুঙ্গি পরে সুস্থভাবে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। বিপদ আসন্ন যেন!
আর চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই ফলে সাধারণ পোশাক পরে গেলে নানা ক্ষতিকর বিকিরণে দেহের বারোটা বাজতে পারে। আবার অত্যাধিক ঠাণ্ডা কিংবা গরম থেকে বাঁচায় স্পেস শুট। সেখানে ভিতরে কৃত্রিম ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পোশাকে এমনকি পশ্রাব করার জন্যও ভাল সুবিধা রাখা থাকে। লুঙ্গি পরলে যেটা পাওয়া যায় না।
তবে হ্যাঁ, কেও যদি মূল স্পেসশুটের উপরে অতিরিক্ত হিসেবে লুঙ্গি পরে তবে তাতে সামান্য সংখ্যক অসুবিধা ছাড়া আর কিছু হবার কথা নয়। সেভাবে করলে করা যেতেও পারে।
আসলে এই সবটাই আমার উর্বর মস্তিষ্কের অনুর্বর কল্পনা। লুঙ্গি পরে ওখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। মাথার ঘাম মাথায় রেখেই এটা লেখা হয়েছে।
পুনশ্চ ১ :
এই জিনিসটার বাস্তব একটা প্রয়োগ আমরা পৃথিবীতে বসেই দেখতে পাই। সমুদ্রের একদম গভীরে যেসকল মাছগুলো বাস করে তাদেরকে জীবিত ভাবে উপরে আনা যায় না। অল্পতেই মারা যায়। এর কারণটা হল তরলের গভীরতা যত বাড়ে তাঁর চাপও বাড়ে তত। গভীর জলের মাছেরা বেশি চাপে থেকে অভ্যস্ত, সেই বেশি চাপ থেকে অল্প চাপে আনলে সেটা সয়ে ওঠতে পারে না তারা। ফলে মারা যায়।
পুনশ্চ ২ :
মানুষের মাঝেও এই ব্যাপারটার বাস্তব উদাহরণ পৃথিবীর মাটিতেই পাওয়া যায়। পর্বতারোহীরা যখন এভারেস্ট বা এমন উঁচু চুড়ায় ওঠে তখন কারো কারো নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। কারণ পৃথিবী থেকে যত উপরে ওঠা যায় ততই বায়ুর চাপ কমতে থাকে। সে সকল লোকের নাকের কোষের প্লাজমা মেমব্রেন এতটা শক্ত নয় যেটাতে সামান্য কয়েক মাইল উচ্চতাতেই সে কোষ ফেটে যায়।
লুঙ্গি পরে চাঁদে যাওয়া কি সম্ভব?
রিভিউ করছেন Unknown
তে
6:56 AM
রেটিং:
No comments: