পুরুষের কাছেও শেখার আছে
সম্পর্কের
ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। কিন্তু তার পরও ছোটখাটো কিছু
ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় দুই পক্ষের ঠোকাঠুকি লেগে যেতেই পারে। অথচ
পরস্পরের কাছ থেকে কিছু ব্যাপার নিজের আয়ত্তে নিলে এ ধরনের সমস্যার
মুখোমুখি হতে হয় না কোনো পক্ষকেই।
এরই ধারাবাহিকতায় পুরুষের কাছ থেকে নারী কী কী শিখতে পারেন, তা নিয়ে একটি
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। পুরুষ যুক্তির পক্ষে থাকায়
আবেগের নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালোভাবেই করতে পারেন। ফলে বাস্তবের সমস্যার সমাধান
তাঁরা কল্পনায় নয়, বাস্তবেই খোঁজেন। পুরুষের কাছ থেকে এগুলো শিখে নারী তাঁর
প্রাত্যহিক জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি
করা হয়েছে।
যুক্তির পাঠ
জীবনের সবকিছুর পেছনেই যুক্তি আছে—এ কথাটা পুরুষেরা যত সহজে অনুধাবন করেন;
নারীরা ততটা নয়। তাই পুরুষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেন
যুক্তিকে, আবেগকে নয়। পুরুষের এ গুণটি নারীর আয়ত্তে এলে তিনি জীবনের অনেক
সমস্যারই সমাধান করতে পারবেন অনেক দ্রুত সময়ে।
আবেগের নিয়ন্ত্রণ
পুরুষের বিরুদ্ধে একটা সাধারণ অভিযোগ, তাঁদের আবেগ কম। তবে এ ব্যাপারে
পুরুষের ভাষ্য একেবারেই ভিন্ন। তাঁরা মনে করেন, সব সময় সবকিছুতে অতি আবেগ
দেখানোর কিছু নেই। নিয়ন্ত্রিত আবেগের কারণে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও বেশ
দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে পারেন পুরুষ। আবেগের নিয়ন্ত্রণ নেই—এমন অভিযোগে
বেশির ভাগ সময় অভিযুক্ত নারীর কাছে পুরুষের এ বিষয়টি শিক্ষণীয় হতে পারে।
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ নয়
পরিবারের কোনো সদস্য হয়তো সকালের নাশতা করেননি, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের
সীমা থাকে না নারীর। বারবার তাঁরা এটি নিয়েই কথা বলতে থাকেন। তবে এ
ক্ষেত্রে পুরুষের আচরণ ভিন্ন। সকালে নাশতা না করার মতো ছোট বিষয় নিয়ে
উদ্বিগ্ন হতে তাঁরা কোনোভাবেই পছন্দ করেন না। কারণ, পুরুষ মনে করেন,
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা যত কম ঘামানো যায়, জীবন ততই সুন্দর হয়।
অপ্রয়োজনে নিন্দা নয়
নারীদের ব্যাপারে একটা সাধারণ অভিযোগ, কয়েকজন একসঙ্গে হলেই নাকি তাঁরা
নিন্দায় মেতে ওঠেন। পুরুষ যে অন্যের নিন্দা করেন না, তা নয়। তবে সেটা নারীর
তুলনায় অনেক কম। পুরুষেরা মনে করেন, অতি প্রয়োজন ছাড়া নিন্দা করে আড্ডায়
নিজেদের সুন্দর সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এর চেয়ে ওই সময়টাতে অন্য
কোনো বিষয় নিয়ে ইতিবাচক বা হালকা আলোচনা করলে মন প্রফুল্ল রাখা যায়।
রসবোধ
রসবোধ মানুষকে প্রফুল্ল চিত্তে সুন্দরভাবে বাঁচতে সহায়তা করে। আর পুরুষের
রসবোধ প্রকৃতিগতভাবেই একটু বেশি থাকে বলে প্রচলিত। খুব ছোটখাটো বিষয় থেকে
কীভাবে হাস্যরস নিংড়ে নিতে হয়, পুরুষের কাছ থেকে নারীর তা অতি শিক্ষণীয়
ব্যাপার।
কল্পনা নয়, বাস্তবে বাঁচো
নারী অনেক বেশি কল্পনাবিলাসী বলে দুর্নাম আছে। তাঁরা কল্পনার জগতে বাস
করতে পছন্দ করেন। তবে পুরুষ নাকি বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন বেশি, তাই তিনি বাস্তব
জীবনের সমস্যার সমাধান বাস্তবেই খোঁজেন। ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক বা
বিবাহিত জীবন সম্পর্কে যেকোনো ধরনের সমস্যায় যুক্তির বিবেচনায় সমাধান পেতে
চান পুরুষেরা। নারী যদি এভাবে দেখতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই অনেক সমস্যার
সমাধান তিনি করতে পারবেন।
পুরুষের কাছেও শেখার আছে
রিভিউ করছেন Unknown
তে
10:51 PM
রেটিং:
No comments: