Top Ad unit 728 × 90

>
[]

এলিয়েন: মহাবিশ্বে এমন কিছু কি আদৌ রয়েছে?


কে, কবে নিজের চোখে এলিয়েন দেখেছে তার কোনো সঠিক তথ্য কারও জানা নেই। সিনেমা ও কাল্পনিক চিত্রেই মানুষ যা দেখেছে। তারপরও অদেখা এই বিষয়টিকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ নেই।  হবেই বা না কেন। পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যার আভাস এভাবেই আগে থেকে পাওয়া যায় এবং মানুষের অনুসন্ধানী চোখ যতটা সম্ভব সেই রহস্য উন্মোচন করে এই সত্যতা বের করে আনে।  মানুষ কিছুতেই রহস্যের বেড়াজালে বন্ধি থাকতে চায় না। আসলেও কি এলিয়েন বলে কিছু আছে?
 
এলিয়েন আসলে কি?
এলিয়েন বলতে আমরা এক বাক্যে যা জানি তা হলো, ‘এটি ভিনগ্রহের প্রাণী’। অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরের ভিন্ন মহাকাশের কোনো স্থানের প্রাণকে বোঝায়।  প্রাণী বলতেই বোঝায় যাদের প্রাণ আছে। সে হিসেবে ভিনগ্রহের একটি সূক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়াও ভিনগ্রহের প্রাণী। তবে ব্যাকটেরিয়া এলিয়েন নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে এলিয়েনের সজ্ঞা পুরোপুরি ক্লিয়ার নয়।  

 
তবে এই বিষয়টিও একইসাথে স্বীকার করতে হবে যে, পৃথিবী ছাড়াও আরও যে অন্য গ্রহগুলো রয়েছে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। সেখানে থাকতে পারে বসবাসের পরিবেশ। কেননা এখনো মহাকাশের অনেক গ্রহ আমাদের কাছে অজানা। হয়তোবা সেই অজানা গ্রহেই বাস করে এই এলিয়েনেরা – এরকমই বিশ্বাস করে বেশিরভাগ মানুষ।
 
এলিয়েনে বিশ্বাসী:
এলিয়েনে বিশ্বাসীর সংখ্যাটা অবশ্য তুলনামূলকভাবে কম। তবে মোট এর হিসেবে এর পরিমাণটা দাঁড়ায় পৃথিবীর পাঁচভাগের এক ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে এলিয়েন বলতে কিছু আছে। তাদের ধারণা এলিয়েন ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যেই বিচরণ করছে। কিন্তু সেই বিশ্বাসটা যখন শতকরা ৪০ জনে পৌছায় তখন অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যথা হওয়াই স্বাভাবিক। ভারত ও চীনে এলিয়েনে বিশ্বাস করেন ৪০% লোক। ‘রয়টার্স  বিসিএমএম’ – এর চালানো এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের ২২টি দেশের ২৩,০০০ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক।  এই জরিপে নারী-পুরুষ উভয়েই অংশগ্রহণ করেন। জরিপে দেখা যায় এলিয়েন বিশ্বাসীদের মধ্যে ২২ শতাংশ পুরুষ এবং ১৭ শতাংশ নারী।  আর ধনী-দরিদ্র সর্বজনীনভাবে ৩৫ বছরের নিচে যাদের বয়স তারাই এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী।
 
আসলেও কি এলিয়েন বলে কিছু আছে?
মানুষ একবার যখন কোনো কিছুর গন্ধ পায়, তখন সেই গন্ধের উৎপত্তিস্থল বের না করে ক্ষান্ত হন না। এলিয়েনের রহস্য উদঘাটনেও মানুষ বিরামহীনভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ নিয়ে তেমন তোড়জোড় না দেখা গেলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এই রহস্য উদঘাটনের পিছনে শ্রমের পাশাপাশি প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।  ১৯৬০ সালে আমেরিকান জ্যোতিবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ড্রেক সর্বপ্রথম বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে একটি প্রজেক্ট চালু করে। যার নাম ছিল ‘ওজমা’। এই প্রজেক্টের কাজ ছিলো সৌরজগতের বাইরের কোনো সভ্যতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা। তবে এখন পর্যন্ত এই প্রজেক্টের ফলাফল শূন্য।  
 
ফলাফল তেমন কিছু না পেলেও বিজ্ঞানীদের ধারণা এই মহাবিশ্বে মানুষ একা নয়। মানুষের মতো আরও অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে এই মহাবিশ্বে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এরা মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এরা অনেক বেশি এগিয়ে। কারণ মানুষ এখন পর্যন্ত চাঁদে যেতে পেরেছে। আর এরা ভিন্ন এক গ্রহ থেকে পৃথিবীতে চলে এসেছে। তাহলে এতদিনে তাদের উন্নতি কতটুকু হতে পারে তা কেবল কল্পনা করা যায়। কে জানে তারা হয়তো নিয়মিতভাবেই পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করে চলেছে! আর এ কারণেই হয়তো পৃথিবীতে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কিছু অদ্ভুত চেহারার জীব। চোখের পলকেই আবার তারা মিলিয়েও যায়।
 
স্টিফেন হকিং একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী এ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্ধ নেই। স্টিফেন হকিংস এর মতে, অবশ্যই এলিয়েন আছে। শুধু আমরাই তাদের খুঁজে পাচ্ছি না। তবে একদিন তাদের খোঁজ পাওয়া যাবেই।
 
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রে এক খবরে জানা যায়, বাস্তবেই পৃথিবীতে ভিনগ্রহের জীবের আবির্ভাব ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের বিজ্ঞানীরা তেমনটাই দাবি করেছেন। জার্নাল অব কসমোলজির প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উঁচুতে বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে এমন কিছু জীবসত্তা পাওয়া গেছে, যেগুলো পৃথিবীতে নেই। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এগুলো মহাকাশ থেকে এসেছে। এই দাবির পেছনে শক্তিশালী যুক্তিও দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীরা জানান, বিশেষভাবে তৈরি একটি বেলুন যুক্তরাজ্যের আকাশে তাঁরা ছেড়ে দিয়েছিলেন উল্কাবৃষ্টির সময়। সেখান থেকে সংগৃহীত আণুবীক্ষণিক উপাদানগুলো পরীক্ষা করে এসব অস্বাভাবিক অণুজীব পাওয়া গেছে। গবেষকদের নেতৃত্বে থাকা মিল্টন ওয়েইনরাইটের মতে, বেশির ভাগ মানুষ মনে করতে পারে, এসব অণুজীব পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকেই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে পৌঁছেছে। কিন্তু প্রচলিত মত অনুসারে, ভয়াবহ কোনো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ছাড়া এ ধরনের কোনো অণুজীব সেখানে পৌঁছানোর কথা নয়। এদিকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অভিযান চালানোর সময়টায় পৃথিবীতে কোনো অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান এই গবেষক। সুতরাং সেগুলো মহাকাশ থেকেই এসেছে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। তাঁরা মনে করেন, মহাজাগতিক সত্তা পৃথিবীতে অব্যাহতভাবেই আসছে এবং সেগুলোকে ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা পৃথিবীতে নেই।
 
নাসা কি বলে?
শনির সবচে বড় চাঁদ টাইটানে এলিয়েন বা মহাজাগতিক প্রাণী থাকার প্রমাণ পেয়েছেন নাসার গবেষকরা। নাসার ক্যাসিনি থেকে পাঠানো ডেটা বিশ্লেষণ করেই গবেষকরা টাইটানে এ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন।  শনির অনেকগুলো চাঁদের মধ্যে একমাত্র টাইটানের আবহাওয়াই প্রাণ ধারণের উপযোগী। আর চাঁদের এই আবহাওয়ায় জীবনের উৎপত্তি হয়েছে এবং তারা শ্বাস নিতে পারছে। এমনকি জানা গেছে, এ ভূ-পৃষ্ঠের জ্বালানি খেয়েই নাকি বেঁচে আছে টাইটানের এইসব এলিয়েনরা।


অবশ্য এর আগে জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছিলেন, টাইটানের আবহাওয়া প্রাণধারণের পক্ষে অসম্ভব শীতল। এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ইকারাস‘ এবং ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ’ সাময়িকীতে।


এদিকে ইকারাস সাময়িকীর বরাতে জানা গেছে, টাইটানের হাইড্রোজেন গ্যাস গ্রহটির আবহাওয়া মন্ডলে প্রবাহিত হচ্ছে, কিন্তু পৃষ্ঠদেশে এসে এটি হারিয়ে যাচ্ছে। হাইড্রোজেন গ্যাসের এই প্রবাহ থেকেই প্রমাণিত হয় টাইটানে বসবাসরত এলিয়েনরা শ্বাস নিতে সক্ষম। অন্যদিকে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ সাময়িকীর বরাত জানা গেছে, টাইটানের ভূপৃষ্ঠে রাসায়নিকের ঘাটতি আছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, টাইটানের আবহাওয়ায় প্রাণ ধারণ সম্ভব। সূর্যরশ্মির সঙ্গে এ গ্রহের বায়ুমন্ডলে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি করে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। যদিও ক্যাসিনির পাঠানো ডেটা থেকে এ ধরনের কোনো প্রমাণ তারা পাননি।


নাসার অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ক্রিস ম্যাককেই-এর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মানুষ যেভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নিতে অক্সিজেন ব্যবহার করে তেমনি টাইটানের এলিয়েনরা হাইড্রোজেন-এ শ্বাস নিয়ে টিকে আছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর পরে আমাদের সূর্য যখন লাল বামন দৈত্যের আকার নেবে তখন টাইটানে বাস করাটাই হবে উপযুক্ত। কারণ তখন এটিই হবে স্বর্গতুল্য। (রিপোর্টটি করা হয় ৪ মে, ২০১২)
 
নাসার আগের একটি রিপোর্ট:
নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্য কোনো গ্রহে নয়, পৃথিবীর বুকেই নিশ্চিত এলিয়েন খুঁজে পাওয়া যাবে। ক্যালিফোর্নিয়া’র জোসমাইট ন্যাশনাল পার্কের মনো লেকের তলদেশে’র বিষাক্ত আর্সেনিকে বেড়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়াই এলিয়েনদের খোঁজ দিতে পারে। গবেষকদের মন্তব্য, এলিয়েনরাই মানুষের মতোই পৃথিবীর বুকে মানুষের ছায়াসঙ্গী হিসেবে বাস করছে।
 
এই আবিষ্কার ‘স্যাডো’ তত্ত্বকে প্রমাণ করে। স্যাডো তত্ত্ব অনুসারে আমাদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে আমাদের সঙ্গেই এলিয়েনরা বসবাস করছে। তাদের জন্য শত্রুভাবাপন্ন এবং বসবাসের অযোগ্য পরিবেশের মধ্যেই এলিয়েনরা রয়েছে। জানা গেছে, পুরোপুরি অজানা ছিলো এমনই একটি ব্যাকটেরিয়া সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন নাসার গবেষকরা। এই ব্যাকটেরিয়া টিকে আছে এমন এক পরিবেশে যে পরিবেশ এমনই বিষাক্ত যে সেখানে কোনো প্রাণ-ধারণ করা সম্ভব নয়। গবেষকরা এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার জোসমাইট ন্যাশনাল পার্কের মনো লেকের তলদেশে। আর্সেনিকপূর্ণ এবং ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এ পরিবেশেই টিকে আছে এই ব্যাকটেরিয়া। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখানে যেভাবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বিষাক্ত আর্সেনিককে অবলম্বন করে টিকে আছে এভাবেই অন্যান্য গ্রহের চরম প্রতিকূল অবস্থায়ও এদের জীবন গড়ে উঠেছে।
 
লন্ডনের সেন্টার ফর প্লানেটারি সায়েন্স-এর অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ড. লুইস ডার্টনেল জানিয়েছেন, ব্যাকটেরিয়া যদি আর্সেনিক মেটাবলিজম নিয়ে তৈরি হতে পারে তবে সেখানে অন্যান্য প্রাণের উদ্ভব ঘটাও সম্ভব।
 
ড. লুইস ডার্টনেল আরো জানিয়েছেন, অবশ্যই এলিয়েন আছে, আর সে এলিয়েনগুলো আমাদের মতোই ঘরবাড়ি নিয়ে আছে।
 
জানা গেছে, ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি ফাইন্ডিং হুইচ উইল ইমপ্যাক্ট দ্যা সার্চ ফর এভিডেন্স অফ এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল লাইফ’ নামের প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেবে নাসা। (রিপোর্টটি করা হয় ৪ ডিসেম্বর, ২০১০)
 
নতুন এলিয়েন মুনের সন্ধান:
সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরে প্রথম এলিয়েন মুন বা চাঁদ আবিষ্কারের দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব নটরডেমের বিজ্ঞানীরা চলতি গবেষণায় সৌরজগতের বাইরে প্রথম উপগ্রহ বা চাঁদ আবিষ্কৃত হওয়ার বিষয়ে জোর দাবি করেছেন। সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত গ্রহগুলোকে যেমন বলা হয় এলিয়েন গ্রহ তেমনি উপগ্রহকেও এলিয়েন মুন বলা হয়। এলিয়েন মুন মানে সৌরজগত তথা আমাদের সূর্যকেন্দ্রিক গ্রহ ব্যবস্থার বাইরে খুঁজে পাওয়া কোন উপগ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এগুলোকে exomoons কিংবা alien moon নামে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। গবেষকরা লক্ষ্য করেন, একটি গ্রহ সদৃশ বস্তু অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আপেক্ষিকভাবে এটি সৌরজগতের নিকটবর্তী। বস্তু দুটির মধ্যকার দূরত্ব মাপা হয়েছে ১৮০০ আলোকবর্ষ। যে বস্তুটিকে কেন্দ্র করে অপরটি ঘূর্ণায়মান আছে সেটিকে গ্রহ বিবেচনা করা হচ্ছে। এটার ভর বৃহস্পতির ভর থেকে ৪ গুণ বেশি। এলিয়েন চাঁদটি আমাদের পৃথিবীর ভরের অর্ধেকের সমান। গবেষকদের প্রাপ্ত তথ্যাদি নির্ভূল হয়ে থাকলে, এটিই হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্রথম এলিয়েন চাঁদ বা exomoon। (রিপোর্টটি করা হয় ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩)
 
ইসলাম কি বলে?
ইসলামের দৃষ্টিতে দেখা যায়, “তাঁর ইঙ্গিত সমুহের একটি – নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি এবং এদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া জীব। তিনি যখন ইচ্ছা এদেরকে একত্র করতে সক্ষম।” (আস শুরাঃ ২৯)। “তিনি আল্লাহ যিনি সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং সমসংখ্যক (৭টি) পৃথিবীও সৃষ্টি করেছেন।” ( তালাক্বঃ ১২)।
 
যে জিনিসটিকে ঘিরে রহস্যাবৃত হয়ে আছে এলিয়েন রহস্য:
এলিয়েন রহস্য জানার জন্য মানুষ হাজার হাজার বছর চেষ্টা করেছে কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি। হয়তো আরও হাজার বছর লাগবে। অথবা এই রহস্য কোনদিনও ভেদ হবেনা। এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার তাই আর শেষ নেই। তবে এই রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে যে বস্তু তার নাম ইউ.এফ.ও (U.f.o)। পৃথিবীর আকাশে মাঝে মাঝেই দেখতে পাওয়া উড়ন্ত এই অদ্ভুত বস্তু এর ব্যাখাও মানুষের কাছে রয়ে গেছে অধরা।
 
কি এই ইউ.এফ.ও?
ইউ.এফ.ও (U.f.o) এর ফুল ফর্ম হচ্ছে -Unidentified Flying Object। অনেকে অবশ্য ফ্লাইং সসার ও বলে থাকেন। ফ্লাইং সসার বলার পিছে কারন হচ্ছে- অধিকাংশ ইউ.এফ.ও, যা দেখা গেছে বলে দাবী করা হয়, তা অনেকটা সসার বা পিরিচ আকৃতির। তবে ইউ.এফ.ও যে শুধুই সসার আকৃতির, তা কিন্তু নয়। অনেক ইউ.এফ.ও গোলক, অনেক গুলো সিগার আকৃতির, আবার কেউ কেউ বলে পিরামিড এর মতো ইউ.এফ.ও ও নাকি দেখেছেন তারা।
 
ইউ.এফ.এর অস্তিত্ব কি আসলেই আছে নাকি এটি মানব মস্তিস্কের উর্বর কল্পনা?
মানুষ কল্পনাপ্রবন, একথা মিথ্যা নয়। তবে ইউ এফ ও পুরোটাই মানুষের কল্পনা প্রসুত জিনিস, এটা বলাটা বোধ হয় অনেক কঠিন। ইউ.এফ.ও দর্শনের কমপক্ষে হাজারখানেক, বা তার ও বেশি দাবী ব্যাপারটাকে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত করে গেছে দিনের পর দিন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে দেখা যাওয়া এই বস্তুরা তাই অবলোকনকারীদের মনে বদ্ধমুল ধারনা জন্মিয়েই ফেলেছে যে পৃথিবীর বাইরে অবশ্যই প্রানের অস্তিত্ব আছে এবং তারা বেশ বুদ্ধিমান।
 
ইউ.এফ.দর্শনের প্রথম ঘটনাঃ
প্রাচীন মিশরের অনেক লিপিতেই এই উড়ন্ত চাকতির উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে একটি বেশ উল্লেখযোগ্য , সেটি হচ্ছে মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের তৃতীয় ফারাও টুথমোজ এর একটি লিপি। ফারাও শীতের তৃতীয় মাস, এবং দিবসের ষষ্ঠ ঘণ্টায় আকাশে কিছু অদ্ভুত দর্শনের উড়ন্ত অগ্নি গোলক দেখতে পান বলে তা লিপিবদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন। এটি খ্রিস্টের জন্মের ও প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বের ইতিহাস।এর পরেও বহুবার ইউ.এফ.ও এর দর্শনের কথা শোনা যায়। তবে বর্তমান পৃথিবীর ইতিহাস অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউ.এফ.ও দর্শন এর তারিখ ১৫৬১ সালের ১৪ ই এপ্রিল। স্থান- নুরেমবারগ, জার্মানি।
 
হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর ঘটনাঃ
১৯৮৭ সাল।হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর একটি ছোট ,শান্ত , ছিমছাম শহর। WYVE নামের একটি রেডিও স্টেশনে কাজ করেন ড্যানি গরডন নামের এক যুবক। প্রতি রাতের মতো রেডিও বার্তা চেক করতে যেয়ে তিনি বেশ কিছু অস্বাভাবিক রিপোর্ট পান। এই রিপোর্ট কারীদের মধ্যে তিন জন ছিলেন আবার শেরিফ। তারা সবাই হোয়াইটভিল এর আকাশে একগুচ্ছ অদ্ভুত আলো দেখতে পান বলে দাবী করেন। ড্যানি প্রথমে এটি হেসে উড়িয়ে দিলেও মুহূর্তের মধ্যেই হোয়াইটভিল থেকে আরও অনেক তাদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন যে এটি তাদের চোখে পড়েছে। ড্যানি এটিকে ভার্জিনিয়া এয়ার বেস এর কোন এক্সপেরিমেন্ট ভাবলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়ে দেন , সে রাতে এমন কিছু পরীক্ষা করা হয়নি। ব্যাপারটা ধীরে ধীরে সবার মনেই একটা খটকা তৈরি করে। এর প্রায় দু সপ্তাহ পর, ড্যানি এবং তার বন্ধু রজার হল দুজনেই খুব কাছে থেকে ইউ.এফ.ও দেখতে পান বলে জানান। “আমরা তখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই গাড়ির বা দিকে আমার চোখ গেলো এবং আমি ভুমির সরলরেখা বরাবর একটি খুব ই অস্বাভাবিক বস্তু লক্ষ্য করলাম। সাথে সাথেই গাড়িটা ডান পাশে রেখে আমরা লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসি। আমরা দেখতে পাই , যে আকাশযানটি আমাদের দিকে আসছে , সেটি আকৃতিতে বিশাল এবং তার মাথার দিকে একটি ডোম আছে এবং কোন পাখা অনুপস্থিত। আকাশ যানটির ডান দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, সেটি যত দ্রুতই আমাদের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, ঠিক ততো দ্রুতই আমাদের থেকে দূরে চলে গেলো, এবং একটা সময় মিলিয়ে গেলো।” এ ঘটনার তিন মাসের মধ্যেই প্রায় শতাধিক লোক ইউ.এফ.ও গুলোকে বার বার দেখতে পান। কয়েকটি ছবি ও তোলা হয় যার মধ্যে এগুলো উল্লেখযোগ্য হোয়াইটভিল এর এই অদ্ভুত ঘটনার কোন ব্যাখাই পায়নি হোয়াইটভিলবাসী।
 
মেক্সিকো এর ঘটনাঃ
১৯৯১ সালের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কথা বোধহয় সবারই মনে আছে। সমস্ত পৃথিবী যেন সূর্যগ্রহণ অবলোকন উৎসবে মেতে উঠেছিলো। মেক্সিকো ও ব্যাতিক্রম ছিলনা। কিন্তু কেউ তখন ও ভাবেনি তাদের পুরো দেশকেই এই দিনটা বদলে দিবে ইউ.এফ.ও এর হিস্টিরিয়াতে। সেই দুপুরে, Guillermo Arragin, নামের একজন টেলিভিশন এক্সিকিউটিভ ছাদের উপরে বসে সূর্যগ্রহণের ভিডিও ধারন করছিলেন। জিনিসটা ঠিক তখনই তার দৃষ্টিগোচর হয়। Jaime Maussan তখন কাজ করছিলেন Arragin, এর সাথে। তারা পরবর্তীতে সূর্যগ্রহণের ভিডিও টেপটি মেক্সিকান টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করেন, সূর্যগ্রহণের ৮ দিন পরে। এই টেপ টির সাথে তারা ইউ.এফ.ও এর ফুটেজটিও সম্প্রচার করে। মুহূর্তের মধ্যে তারা ৪০০০০ ফোন পান প্রায় একই সাথে। এটা এতোটাই দ্রুত ছিল যে সমস্ত নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। বহু প্রত্যক্ষদর্শী তাদের জানায় , যে তারা ঠিক একই বস্তু দেখেছেন মেক্সিকো এর আকাশে। পরবর্তীতে তারা মেক্সিকান দের ধারণকৃত কমপক্ষে ১৫ টি ভিডিও পান যার সাথে Arragin, এর ভিডিও এর কোন পার্থক্য নেই। ২ মাস পরে ঠিক একই রকম ভাবে আরও অনেক গুলো ইউ.এফ.ও দেখা যায় মেক্সিকোর আকাশে।
 
ফিনিক্স রহস্যঃ
মার্চ ১৩, ১৯৯৭ এর রাত। অ্যারিজোনা এর অধিবাসী Michael Krzyston এর অপটু লেন্স এ ধরা পড়লো “v” আকৃতির এক অদ্ভুত আলোক গুচ্ছ। শুধু Krzyston ই নন, অ্যারিজোনার কমপক্ষে হাজার খানেক মানুষ সে রাতে এক ই আলো দেখেছেন এবং এগুলো যে ইউ.এফ.ও, এ সম্পর্কে তারা প্রায় নিঃসন্দেহ ।
 
রসওয়েল এর অমীমাংসিত রহস্যঃ
এটি ইউ.এফ.ও এর সাথে সম্পর্কযুক্ত খুব বেশি আলোচিত একটা ঘটনা। ঘটনার সুত্রপাত ১৯৪৭ সালে একটি বজ্রপাত সহ ঝড়ের মাধ্যমে। ‘ম্যাক’ নামের এক ভদ্রলোক তখন তার ঘরে বসেই ঝড় দেখছিলেন। হঠাৎ তার বাড়ির সংলগ্ন বড় ক্ষেতে তিনি বেশ বড়সড় এবং অস্বাভাবিক এক বজ্রপাতের শব্দ পান। পরেরদিন তিনি যখন তার ছেলেকে নিয়ে তার ক্ষেত এর ক্ষয় ক্ষতি দেখতে গেলেন তখন অবাক হয়ে দেখলেন, বজ্রপাতের কোন চিহ্নই নেই। বরং সারা মাঠ জুড়ে পড়ে রয়েছে কোন কিছুর ধ্বংসাবশেষ। প্রায় তিন মাইলের ও বেশি লম্বা এবং দুই তিনশত ফুট প্রস্থ জুড়ে ধ্বংসাবশেষ গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ম্যাক এর ভাষ্য অনুসারে, উদ্ধারকৃত টুকরো গুলিকে এককথায় ধাতু বলা যায়না। টুকরোগুলি ছিল বেশ মজবুত, এবং প্লাস্টিক এর মতো হালকা অথচ প্লাস্টিক নয়। দুই তিন ফুট লম্বা টুকরো গুলিও খবরের কাগজের মতোই হালকা ছিল, বলেন ম্যাক। তবে এই টুকরো গুলোকে তিনি কাটতে পারেননি এবং আগুনেও পোড়াতে পারেন নি বলে জানান তিনি। পরেরদিন রসওয়েল আর্মি এয়ার বেস এ ঘটনাটি জানানো হয়। সেদিন বিকেলেই আর্মি ইন্টেলিজেন্স এর কিছু কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মেজর জেসি মারসেল যার উপরে এই ঘটনাটি তদন্তের মুল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। তিনিও টুকরো গুলি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বলে গেছেন যে এটি তার জীবনে দেখা সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক ঘটনা। তিনিও টুকরো গুলিকে আগুনে পোড়াতে পারেন নি। তিনি দৃঢ় ভাবেই দাবী করেন, এটি কোন ভাবেই এয়ার বেলুন, অথবা পৃথিবীতে তৈরি কোন আকাশ যান এর ধ্বংসাবশেষ নয়। তার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে টুকরোটি সেটি একটি ছোট এল বিম এর টুকরো যেটি এর উপরে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন এবং অক্ষর খোদাই করা ছিল। এটা থেকে তার মনে বিশ্বাস আরও প্রবল হয় যে এটি পৃথিবীর বাইরের কোন একটা স্থানে তৈরি কোন আকাশযান। খবরটা নিউজপেপারে চলে আসে মুহূর্তের মাঝেই। ঠিক ওইদিন সক্করো, মেক্সিকো থেকেও ইউ.এফ.ও দর্শনের কিছু রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই ঘটনাগুলি রসওয়েল এ বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তবে রসওয়েল এয়ার বেস কোন এক অজ্ঞাত কারনে খবরটা ধামাচাপা দেওয়ার প্রানপন চেষ্টা করে। গ্লেন ডেনিস নামের ২২ বছরের এক ছেলেও ম্যাক এর মাঠ টি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তাকেও মিলিটারি ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং টাকে বলা হয়, এটি নিয়ে আর কোন রকম উচ্চ্যবাচ্চ্য না করার জন্য। এছাড়া ঠিক ওই সময়ে একজন নার্স দাবী করেন, তাকে এয়ার বেস ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনটি বডি অটোপসি করার জন্য। তিনি বলেন, তিনটি প্রাণীর কোনটি ই পৃথিবীর নয় এ ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। তিনি প্রানীগুলির বর্ণনা দেন এভাবে- “তারা আমাকে ডেকেছিল partial autopsy এর জন্য। তাদের ওখানে একটা বড় ক্রাশ ব্যাগ ছিল যেটির মধ্যে দোমড়ানো মোচড়ানো খুব ছোট দুটি বডি ছিল যাদের মাথা ছিল দেহের তুলনায় অনেক বড়। তাদের কোন কান ছিল না, বরং তাদের কানের দুটি ক্যানাল ছিল। তাদের বিবর ছিল দুটি ,এবং তাতে কোন দাত ছিলনা।” পরবর্তীতে গ্লেন অবশ্য নার্সটিকে অনেক খুজতে চেষ্টা করেছিল , যদিও তাকে আর কখনোই খুজে পাওয়া যায়নি। এটি প্রমানিত হলে এয়ার বেস মিলিটারি তাদের বিবৃতি দান করে বলেন, তাদের প্রাপ্ত প্রাণীগুলো আসলে একটি এয়ার বেলুনের ডামি ছিল। যদিও তাতে সন্দেহ দূরীভূত না হয়ে উল্টো সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
 
টেক্সাস ইউ.এফ.ওঃ
ডিসেম্বর এর ২৯ তারিখ, ১৯৮০ সাল। ডিনার শেষে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিটি ক্যাশ, ভিকি ল্যান্ড্রাম ও তাদের ৭ বছরের নাতি কলবি। টেক্সাসে -ডেয়টন এর কাছাকাছি স্টেট রোড থেকে তারা যখন যাচ্ছিলেন তখন রাত প্রায় ৯ টা। ঠিক এসময় আকাশে খুব উজ্জ্বল এক আলো দেখতে পান তিনজনই। তাদের গাড়ি অগ্রসর হচ্ছিল এবং এ অবস্থাতেই গাছের ফাক থেকে তারা বস্তুটিকে দেখতে পাচ্ছিলেন। বিটি ক্যাশ তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এভাবেই- “আমরা তখনো জানতাম না এটা কি, শুধু এটাই বুঝেছিলাম যে এটি প্লেন নয়। আকাশ তখন অত্যাধিক উজ্জ্বল হয়ে পড়েছিলো। একটা সময় ভিকি এর চিৎকারে আমি গাড়ি থামাই এবং বস্তুটিকে দেখার জন্য দরজা খুলে বের হয়ে আসি। বের হওয়ার সাথে সাথেই আমি প্রচণ্ড তাপ অনুভব করি এবং যান টিকে ভালভাবে দেখতে পাই। এটি ছিল অনেকটা ডায়মন্ড এর আকৃতির, যেটার নিচ থেকে প্রচণ্ড ভাবে তাপ নির্গত হচ্ছিল। মুহূর্তের মাঝে আমি পালাতে চাইলাম ওই জায়গা ছেড়ে। গাড়ির হ্যান্ডেল এ যখন হাত দিলাম তখন সেটি পুরোপুরি তপ্ত একটা ধাতু। আমার শুধু মনে হচ্ছিল , আমরা এখান থেকে জীবিত ফেরত যেতে পারবো তো? ভিকি বলেন - এর কিছুক্ষনের মধ্যেই বহু হেলিকপ্টার জায়গাটিকে কভার করে ফেলে।
পরেরদিন তিনজনই মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা জানান, তারা রেডিয়েশন পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়েছেন।পরবর্তীতে ক্যাশ এবং ভিকি সরকারের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়ার আশায় অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন নি। এখানেও টেক্সাস সরকার ধামাচাপা দিয়ে ফেলে ব্যাপারটিকে। পুড়ে যাওয়া রাস্তার ওই অংশটুকু অতি দ্রুত খুড়ে নতুন করে রাস্তা করে দেওয়া হয় যাতে ওটা লোকচক্ষুর দৃষ্টি গোচর না হয়।
 
পানিতেও ইউ.এফ.ওঃ
ইউ.এফ.ও যে শুধু পৃথিবীর আকাশে কিংবা মাটিতে দেখা গেছে , তা কিন্তু নয়। বরং পানিতেও ইউ এফ ও দর্শনের নজির মেলে। বিমিনির উত্তরে আইজাক লাইট আর মিয়ামি এর মধ্যেখানে গালফ স্ট্রিমের জলের তলায় বার বার দেখা গেছে সিগার আকৃতির ইউ.এফ.ও। ডেলমনিকো নামের এক ক্যাপ্টেন পানির নিচে এই সাদাটে ধূসর বস্তুটি দেখতে পান। তার দাবী, এটি কোনভাবে পানিতে আলোড়ন তৈরি না করে চলাফেরা করছিল। পুয়ের্টোরিকো এর কাছের সাগরেও ইউ.এফ.ও এর দেখা মেলে একবার। মার্কিন নৌবাহিনীর কোন একটা মহড়া চলাকালীন সময়ে তাতে  অংশগ্রহণকারী সকল জাহাজ এবং সাবমেরিন এই জলের নিচে ইউ.এফ.ও টা দেখতে পান। সাবমেরিন একে ধাওয়া করলেও বস্তুটি নিমিষেই সাতাশ হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত নেমে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলো। এর গতিও ছিল অস্বাভাবিক এবং আলোড়ন বিহীন।
 
এলিয়েন ভাষা
এটি বলতে সেই সব ভাষাকে বুঝানো হয় যা কোন বহির্জাগতিক প্রাণী তার কথ্য ভাষা রূপে ব্যবহার করে থাকে। এই ধরণের কাল্পনিক ভাষার অধ্যয়নকারীরা একে জিনোলিংগোইস্টিকস (xenolinguistics) অথবা এক্সওলিংগোইস্টিকস (exolinguistics) নামকরণ করেছেন এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এটি এর রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। ১৯৮৬ সালে জিনোলিংগোইস্টিকস নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিল শিলা ফিঞ্চ তার একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ট্রায়াড উপন্যাসে।
এলিয়েন: মহাবিশ্বে এমন কিছু কি আদৌ রয়েছে? রিভিউ করছেন Unknown তে 10:47 PM রেটিং:

No comments:

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.