কম্পিউটার ইউজার-দের প্রচলিত কিছু আজিব ধারণা
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে নানা রকম আজিব ধারনা। ধারনাগুলো
মাঝে মাঝে অনেক হাস্যকরও বটে। সেরকম ধারনাগুলো থেকেই কিছু ধারনা ধার করে
আপনাদের সামনে উপস্থিত করতে চেষ্টা করছি, ধারনাগুলো পড়ে হাসবেন না। এরকম
ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম নয়। চলুন, শুরু করা যাক।
আমাদের কম্পিউটারগুলোতে যে অ্যাটাকগুলো হতে পারে সেগুলো মূলত অটোমেটেড। আপনার কম্পিউটারটি স্বাভাবিক ভাবেই ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকা অবস্থায় এমন কোন ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে যা আপনার কী-স্ট্রোকগুলোর লগ এবং এভাবেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে সক্ষম। আবার, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে আপনার ইমেইল বক্সে আপনি ফিশিং ইমেইল পেলেন যা মূলত চেষ্টা করে থাকে একজন ব্যবহারকারীর ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, ব্যাংক ডিটেইলস অথবা সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার চুরি করতে।
কিন্তু, কোন একজন ‘হ্যাকার’ তার কম্পিউটারে বসে টার্মিনালে কমান্ড লিখে লিখে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করার জন্য সিকিউরিটি হোল খুঁজছে – ব্যাপারটা কিছুটা হাস্যকর। যদি কোন কিছু আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করার জন্য সিকিউরিটি হোল খুঁজেই থাকে তবে তা সম্ভবত একটি বা একাধিক বটনেট যা আনপ্যাচড কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি কোন বিশেষ মানুষ হয়ে থাকেন, যদি হয়ে থাকেন একজন হাই-ভ্যালু টার্গেট যেমন ধরুন – সরকারি এজেন্সির সদস্যা, বড় কোন বিজনেস ম্যান তবে হয়তো কোন হ্যাকার আপনার পিছে লাগতে পারে। তবে আমি আপনি টাইপের সাধারণ মানুষের পেছনে অবশ্যই তারা সময় নষ্ট করবে না।
এক কথায়, এখন বলতে গেলে উইন্ডোজের জন্য যে সকল ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিই ফালতু হয়ে গিয়েছে। বড় ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইট যেমন, download.com, Softpedia, Filehippo এবং SourceForge বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজস্ব গারবেজ যোগ করে দেয় ফ্রি-ওয়্যারগুলোর সাথে।
বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে, জনপ্রিয় ফ্রি-ওয়্যার সাইটগুলোতে তাদের নিজস্ব বাজে ইন্সটলার যোগ করে দেয়! MajorGeeks এর মালিকের সাথে কথা বলে যানা গিয়েছে যে তিনি যদি বিভিন্ন ফ্রি-ওয়্যারের সাথে জাংক সফটওয়্যারগুলো যোগ না করেন তবে দিন শেষে তার সাইটটি খালি পরে থাকবে।
তাই নিশ্চিন্তে চোখ বুঝে ডাউনলোড করার দিন শেষ, কম্পিউটারটি ক্লিন এবং ফাস্ট রাখতে চাইলে দেখে শুনে ডাউনলোড করুন এবং ইন্সটলেশনের সময় ভালো ভাবে পড়ে নিন কি চাচ্ছে আপনার ইন্সটলার।
আপনি রাতে ঘুমানোর আগে কম্পিউটারটি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে এটিকে স্লিপ মোডে রেখে ঘুমাতে পারেন। এর ফলে এটি বলতে গেলে কোন পাওয়ারই ব্যবহার করবেনা (সামান্য পাওয়ার)এবং এরপর আপনি যখনই চাইবেন তখনই এটি কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। একটি ল্যাপটপে খুব সহজেই লিড নামানোর মধ্যে দিয়েই স্লিপ মোডের কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া শক্তিশালী ডেস্কটপ কম্পিউটারেও লো-পাওয়ার স্লিপ এবং হাইবারনেট মোড থাকে।
আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের হাইবার মোডটি এমনভাবে সেট করে রাখতে পারেন যার ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আপনার কম্পিউটারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেট হয়ে যাবে যার ফলে আপনার কম্পিউটারটি আর বিদ্যুৎ অপচয় করবেনা। এতে করে প্রতিরাতে আপনার কম্পিউটারটিকে বন্ধ করতে গিয়ে আপনাকে সময় অপচয় করতে হবেনা এবং রাতে খুব দ্রুত প্রয়োজন হলে সহজেই খুব দ্রুত তা অন হয়ে যাবে।
ওভার অল, অটোম্যাটিক আপডেট আপনার কম্পিউটারের জন্য ভালো। প্রতিটি আপডেটের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয় সিকিউরিটি হোলগুলো আরও নিরাপদ করার যেন আপনার কম্পিউটারটি কোন রকম ম্যালওয়্যার দিয়ে আক্রান্ত না হয়।এছাড়াও অটোম্যাটিক নতুন আপডেটগুলোতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের নতুন অ্যাডিশন যা আপনার কম্পিউটারকে কিছুটা গতি প্রদানেও সক্ষম হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনি কি জানেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নতুন ভার্সনগুলো কতটা চমৎকার? ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯-এ এই পরিবর্তন ঘটে নাটকীয় ভাবে, হঠাৎ করেই। আর পরবর্তীতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নতুন দুটি ভার্সন ১০ এবং ১১ আরও ভালো এক্সপেরিয়েন্স প্রদানে সক্ষম। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের এই মডার্ন ভার্সনগুলো আধুনিক এইচটিএমএল স্ট্যান্ডার্ড সমূহ সাপোর্ট করে এবং এর মধ্যে রয়েছে স্পিডি জাভাস্ক্রিপ্ট এঞ্জিনও। এছাড়াও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে রয়েছে “প্রোটেক্টেড স্যান্ডবক্স মোড” এবং মাল্টি প্রসেস ডিজাইন যা মোজিলা ফায়ারফক্সেও নেই! এমনকি কিছু রিসেন্ট টেস্টে জানা গিয়েছে ক্রোম, অপেরা এবং ফায়ারফক্সের তুলনায় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার কম ব্যাটারি ড্রেইন করে থাকে।
আমি বলছি না যে এখন আপনার উচিৎ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করা তবে অন্তত আপনার জানা উচিৎ নতুন এই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সম্পর্কে।
আর আপনি যদি আপনার র্যাম অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেন তবে হাস্যকর ভাবে হলেও সত্যি যে সেটাই হবে র্যামের প্রকৃত অপচয়। কেননা, আপনি যদি র্যাম ব্যবহার না করেন তবে সেই র্যাম রিসোর্সটুকু কোন কাজে ব্যবহৃত হবেনা এবং এটি যে র্যামের জন্য কো প্লাস পয়েন্ট তাও কিন্তু নয়! এটা নিতান্তই অপচয় করা! তাই ভুল ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে র্যাম রিসোর্স ব্যবহার করুন, আপনার সময়ও বাঁচবে, র্যামও পারফেক্ট ভাবে ব্যবহার হবে।
মূল কথা হচ্ছে, এখনকার দিনে অনলাইনে সরাসরি ভিডিও দেখার ক্ষেতে আপনার কোন রকম কোডেক ইন্সটলেশনের প্রয়োজন নেই। সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট বা ইমেইল থেকে প্রাপ্ত একটি লিংকে ক্লিক করলেই আপনার ব্রাউজার আপনাকে ইনস্ট্যান্ট ভিডিওটি প্লে করে দেখাতে সক্ষম। যদি কোন ওয়েবসাইট আপনাকে এরকম কিছু পপ-আপ করে যে আপনার সেই সাইটে ভিডিওটি দেখতে নির্দিষ্ট একটি কোডেক ইন্সটল করতে হবে তবে করবেন না, কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হবে জাংক ফাইল।
Source: Techtunes
হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য বসে আছে
হ্যাঁ, এটা সত্যিই যে ইন্টারনেটে কানেক্টেড একটি কম্পিউটার বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক রকমের ম্যালওয়্যার এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিম যা একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সহজেই ক্ষতি করতে সক্ষম। কিন্তু, হলিউডের ছবিগুলোর মত একজন হ্যাকার বসে বসে আপনার কম্পিউটারটি হ্যাক করতে চেষ্টা করছে ব্যাপারটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেরকমটি নয়।আমাদের কম্পিউটারগুলোতে যে অ্যাটাকগুলো হতে পারে সেগুলো মূলত অটোমেটেড। আপনার কম্পিউটারটি স্বাভাবিক ভাবেই ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকা অবস্থায় এমন কোন ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে যা আপনার কী-স্ট্রোকগুলোর লগ এবং এভাবেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে সক্ষম। আবার, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে আপনার ইমেইল বক্সে আপনি ফিশিং ইমেইল পেলেন যা মূলত চেষ্টা করে থাকে একজন ব্যবহারকারীর ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, ব্যাংক ডিটেইলস অথবা সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার চুরি করতে।
কিন্তু, কোন একজন ‘হ্যাকার’ তার কম্পিউটারে বসে টার্মিনালে কমান্ড লিখে লিখে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করার জন্য সিকিউরিটি হোল খুঁজছে – ব্যাপারটা কিছুটা হাস্যকর। যদি কোন কিছু আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করার জন্য সিকিউরিটি হোল খুঁজেই থাকে তবে তা সম্ভবত একটি বা একাধিক বটনেট যা আনপ্যাচড কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি কোন বিশেষ মানুষ হয়ে থাকেন, যদি হয়ে থাকেন একজন হাই-ভ্যালু টার্গেট যেমন ধরুন – সরকারি এজেন্সির সদস্যা, বড় কোন বিজনেস ম্যান তবে হয়তো কোন হ্যাকার আপনার পিছে লাগতে পারে। তবে আমি আপনি টাইপের সাধারণ মানুষের পেছনে অবশ্যই তারা সময় নষ্ট করবে না।
কম্পিউটার হ্যাকার ইউজার
উইন্ডোজের ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইটগুলো সেইফ
দিন দিন উইন্ডোজের ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইটগুলো জঘন্য থেকে জঘন্যতর হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সোর্সফর্গের মত চমৎকার সাইটও খারাপের খাতাতেই নাম লিখিয়েছে। একটা সময় মাইক্রো-টরেন্ট ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশনটি গিকদের কাছে ছিল পারফেক্ট একটি অ্যাপলিকেশন, যা ইদানীং ইন্সটলেশনের সময় একটি সফটওয়্যার বান্ডেল ব্যবহার করে থাকে!!এক কথায়, এখন বলতে গেলে উইন্ডোজের জন্য যে সকল ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিই ফালতু হয়ে গিয়েছে। বড় ফ্রি-ওয়্যার ডাউনলোড সাইট যেমন, download.com, Softpedia, Filehippo এবং SourceForge বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজস্ব গারবেজ যোগ করে দেয় ফ্রি-ওয়্যারগুলোর সাথে।
বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে, জনপ্রিয় ফ্রি-ওয়্যার সাইটগুলোতে তাদের নিজস্ব বাজে ইন্সটলার যোগ করে দেয়! MajorGeeks এর মালিকের সাথে কথা বলে যানা গিয়েছে যে তিনি যদি বিভিন্ন ফ্রি-ওয়্যারের সাথে জাংক সফটওয়্যারগুলো যোগ না করেন তবে দিন শেষে তার সাইটটি খালি পরে থাকবে।
তাই নিশ্চিন্তে চোখ বুঝে ডাউনলোড করার দিন শেষ, কম্পিউটারটি ক্লিন এবং ফাস্ট রাখতে চাইলে দেখে শুনে ডাউনলোড করুন এবং ইন্সটলেশনের সময় ভালো ভাবে পড়ে নিন কি চাচ্ছে আপনার ইন্সটলার।
রাতের বেলা কম্পিউটার বন্ধ রাখতে হবে
অনেকেই রাতের বেলা তাদের কম্পিউটারটি বন্ধ করে রাখেন। এটা অনেকের কাছেই এক ধরনের ভুল ধারণায় পরিণত হয়েছে যে রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় কম্পিউটার বন্ধ করা আবশ্যক। কিন্তু, আপনি বর্তমানে যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করছেন সেটি কিন্তু অনেক বেশিই স্মার্ট। পিছে পরে আছেন কেবল আপনিই!আপনি রাতে ঘুমানোর আগে কম্পিউটারটি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে এটিকে স্লিপ মোডে রেখে ঘুমাতে পারেন। এর ফলে এটি বলতে গেলে কোন পাওয়ারই ব্যবহার করবেনা (সামান্য পাওয়ার)এবং এরপর আপনি যখনই চাইবেন তখনই এটি কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। একটি ল্যাপটপে খুব সহজেই লিড নামানোর মধ্যে দিয়েই স্লিপ মোডের কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া শক্তিশালী ডেস্কটপ কম্পিউটারেও লো-পাওয়ার স্লিপ এবং হাইবারনেট মোড থাকে।
আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের হাইবার মোডটি এমনভাবে সেট করে রাখতে পারেন যার ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আপনার কম্পিউটারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেট হয়ে যাবে যার ফলে আপনার কম্পিউটারটি আর বিদ্যুৎ অপচয় করবেনা। এতে করে প্রতিরাতে আপনার কম্পিউটারটিকে বন্ধ করতে গিয়ে আপনাকে সময় অপচয় করতে হবেনা এবং রাতে খুব দ্রুত প্রয়োজন হলে সহজেই খুব দ্রুত তা অন হয়ে যাবে।
অটোম্যাটিক আপডেট আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করে
উইন্ডোজের অটোম্যাটিক আপডেট সম্পর্কে অনেকেরই অনেক ভুল ধারনা রয়েছে। অনেকের আবার রয়েছে অনেক বাজে অভিজ্ঞতা যার কারণে অনেকেই উইন্ডোজের অটোম্যাটিক আপডেট বন্ধ করে রাখেন কেননা তাদের মতে উইন্ডোজের এই অটোম্যাটিক আপডেট কম্পিউটারকে অকেজো করে দিতে পারে। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে আপডেটের কারণে কম্পিউটারের কিছু অংশ এলোমেলো হয়ে যেতে পারে বা কিছু ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে তবে সবসময় নয়।ওভার অল, অটোম্যাটিক আপডেট আপনার কম্পিউটারের জন্য ভালো। প্রতিটি আপডেটের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয় সিকিউরিটি হোলগুলো আরও নিরাপদ করার যেন আপনার কম্পিউটারটি কোন রকম ম্যালওয়্যার দিয়ে আক্রান্ত না হয়।এছাড়াও অটোম্যাটিক নতুন আপডেটগুলোতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের নতুন অ্যাডিশন যা আপনার কম্পিউটারকে কিছুটা গতি প্রদানেও সক্ষম হয়ে থাকে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মত বাজে কিছু আর নেই
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে ‘ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’ একটি কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়। আর এই বদনাম থেকে মুক্তি পেতেই উইন্ডোজ তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর সাথে যুক্ত করছে তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম এজ।কিন্তু আপনি কি জানেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নতুন ভার্সনগুলো কতটা চমৎকার? ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯-এ এই পরিবর্তন ঘটে নাটকীয় ভাবে, হঠাৎ করেই। আর পরবর্তীতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নতুন দুটি ভার্সন ১০ এবং ১১ আরও ভালো এক্সপেরিয়েন্স প্রদানে সক্ষম। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের এই মডার্ন ভার্সনগুলো আধুনিক এইচটিএমএল স্ট্যান্ডার্ড সমূহ সাপোর্ট করে এবং এর মধ্যে রয়েছে স্পিডি জাভাস্ক্রিপ্ট এঞ্জিনও। এছাড়াও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে রয়েছে “প্রোটেক্টেড স্যান্ডবক্স মোড” এবং মাল্টি প্রসেস ডিজাইন যা মোজিলা ফায়ারফক্সেও নেই! এমনকি কিছু রিসেন্ট টেস্টে জানা গিয়েছে ক্রোম, অপেরা এবং ফায়ারফক্সের তুলনায় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার কম ব্যাটারি ড্রেইন করে থাকে।
আমি বলছি না যে এখন আপনার উচিৎ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করা তবে অন্তত আপনার জানা উচিৎ নতুন এই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সম্পর্কে।
র্যামের উপর বেশি চাপ ফেলা উচিৎ নয়
অনেকেই মনে করেন র্যাম যত বেশি ব্যবহার হবে র্যামের জন্য তত বেশি সেটা ক্ষতিকর হবে। আপনি জানেন কি না জানিনা, আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোই বেশি র্যাম রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে, এটা শুধু মাত্র উইন্ডোজ নয় বরং লিনাক্স, ম্যাক ওএস এবং এমনকি লিনাক্সের ক্ষেত্রেও সত্যি। এছাড়া কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারও বেশ ভালো পরিমাণে র্যাম রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে। তবে এটা কিন্তু কোন খারাপ বিষয় নয়, কেননা আপনার র্যামে যখন কোন ডাটা থাকবে তখন সেই ডাটা দ্রুত রিড করাও সম্ভব হবে। এজন্যে বেশিরভাগ রানিং অ্যাপলিকেশন র্যাম রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে।আর আপনি যদি আপনার র্যাম অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেন তবে হাস্যকর ভাবে হলেও সত্যি যে সেটাই হবে র্যামের প্রকৃত অপচয়। কেননা, আপনি যদি র্যাম ব্যবহার না করেন তবে সেই র্যাম রিসোর্সটুকু কোন কাজে ব্যবহৃত হবেনা এবং এটি যে র্যামের জন্য কো প্লাস পয়েন্ট তাও কিন্তু নয়! এটা নিতান্তই অপচয় করা! তাই ভুল ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে র্যাম রিসোর্স ব্যবহার করুন, আপনার সময়ও বাঁচবে, র্যামও পারফেক্ট ভাবে ব্যবহার হবে।
অনলাইনে ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে কোডেক আবশ্যক
হ্যাঁ, একটা সময় ছিল যখন অনলাইনে সরাসরি ভিডিও দেখার বিভিন্ন রকম কোডেক প্রয়োজন হতো। তবে সেই একটা সময়ে কিন্তু আপনার পকেটে স্মার্টফোনও ছিলোনা। যাই হোক, সে সময়টাতে রিয়েল প্লেয়ার, কুইক টাইম, উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার, ডিআইভিএক্স সবই ব্যবহার করতে হতো। এমনকি, জাভাও মাঝে মধ্যে ভিডিও দেখার জন্য ব্যবহার করা হতো পরবর্তীকালে মাইক্রোসফটের সিলভার লাইট যার জায়গা নিয়ে নিয়েছিলো। কিন্তু এখনকার দিনে, বেশিরভাগ ভিডিওই ব্রাউজারের ইন্ট্রিগ্রেটেড এইচটিএমএল৫ এর ভিডিও ফিচারের মাধ্যমে দেখে নেয়া সম্ভব অথবা শুধু মাত্র অ্যাডোবির ফ্ল্যাশ প্লেয়ার প্লাগ-ইনই যথেষ্ট। যদিও খুবই কম সংখ্যক ওয়েবসাইট এখনও রয়েছে যারা মাইক্রোসফটের সিলভার লাইট ব্যবহার করে থাকে।মূল কথা হচ্ছে, এখনকার দিনে অনলাইনে সরাসরি ভিডিও দেখার ক্ষেতে আপনার কোন রকম কোডেক ইন্সটলেশনের প্রয়োজন নেই। সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট বা ইমেইল থেকে প্রাপ্ত একটি লিংকে ক্লিক করলেই আপনার ব্রাউজার আপনাকে ইনস্ট্যান্ট ভিডিওটি প্লে করে দেখাতে সক্ষম। যদি কোন ওয়েবসাইট আপনাকে এরকম কিছু পপ-আপ করে যে আপনার সেই সাইটে ভিডিওটি দেখতে নির্দিষ্ট একটি কোডেক ইন্সটল করতে হবে তবে করবেন না, কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হবে জাংক ফাইল।
আপনার অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে সবসময় সুরক্ষিত রাখবে
এখনকার প্রায় সবাই জানে যে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো পারফেক্ট নয়, অবশ্য কোন কিছুই শতভাগ পারফেক্টভাবে কাজ করতে সক্ষম নয়। তবে এখনও অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা সুরক্ষার জন্য পুরোপুরিই অ্যান্টিভাইরাসের উপর নির্ভরশীল! কিন্তু আপনার জানা উচিৎ যে অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে শতভাগ সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম হবেনা। এমনও দেখেছি যে একজনের কম্পিউটারে পেইড অ্যান্টিভাইরাস থাকা সত্ত্বেও তার কম্পিউটারটি ম্যালফাংশন করছে আবার আরেকজনের কম্পিউটারে কোন প্রকার অ্যান্টিভাইরাস না থাকার পরেও তার কম্পিউটারে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তাই বলবো অ্যান্টিভাইরাসের উপর নির্ভরশীল হবার কিছুই নেই, এটিকে নিরাপত্তার একটি হালকা স্তর হিসেবে ব্যবহার করাই ভালো। মূলত সাবধান থাকতে হবে আপনার নিজের।ক্যাশ ক্লিয়ার করলেই কম্পিউটার দৌড়াবে
হ্যাঁ, তবে সেই দৌড়ানো আপনার চোখে ধরা পরবে খুব সামান্যই! বরং, ক্যাশ ক্লিয়ার করলে আপনার ব্রাউজার কিছুটা স্লো হয়ে যাবে। কেন? আমরা যখন ব্রাউজ করি তখন বিভিন্ন সাইটের কিছু ডাটা ক্যাশে জমা হয়ে থাকে যেন পরবর্তী সময়ে সেই সাইটটি ব্রাউজ করলে আগের সেই ডাটা পুনরায় ডাউনলোড না করে ক্যাশ থেকেই এক্সেস করা যায়। ফলে দ্রুত ব্রাউজ করা যায়। এখন আপনি যদি ক্যাশ ক্লিয়ার করেন তবে আপনার ব্রাউজারকে বারবার সেই একই ডাটা ডাউনলোড করতে হবে, ফলে সময় এবং ব্যান্ডউইথ দুটিরই অপচয় হয়ে থাকে। তাহলে সত্যিই কি আপনার কম্পিউটার দৌড়াচ্ছে নাকি এক অর্থে আপনাকে বসিয়ে রাখছে?Source: Techtunes
কম্পিউটার ইউজার-দের প্রচলিত কিছু আজিব ধারণা
রিভিউ করছেন Unknown
তে
12:25 PM
রেটিং:
No comments: