Top Ad unit 728 × 90

>
[]

গরুর রচনা!



এখনকার শহরের বাচ্চারা গরু দেখে বছরে একবার, কোরবানির ঈদের সময়। এ রকম একজন বাচ্চাকে গরুর রচনা লিখতে দিলে কেমন লিখবে, তা দেখা যাক:-
ভূমিকা : গরু একটি কোরবানির প্রাণী। বছরে কেবল কোরবানির ঈদের সময় জ্যান্ত গরু দেখা যায়। অন্য সময় ওরা মাংস হয়ে যায়। সবসময় গরু বাসায় আসে বাজারের ব্যাগে করে, কোরবানিতে আসে হেঁটে-হেঁটে।
বর্ণনা : গরুর ৪টি পা থাকলেও কোনও হাত নেই। ওরা ডিরেক্ট মুখ দিয়ে খেতে পারে। গরুর একটি মাথা, দুটি কান, দুটি শিং এবং গায়ে লোম রয়েছে। গরুর অনেক কষ্ট। ওরা শুয়ে- শুয়ে ঘুমাতে পারে না। বসে- বসে ঘুমায়।গরুরা কাপড় পরে না, ওরা টয়লেটও ইউজ করে না। গরুরা সবসময় মালা পরে থাকে। গরুরা গাড়িতে চড়তে পারে না। তাই হেঁটে- হেঁটে বাসায় ফিরতে হয়। প্রত্যেক গরুর শিং আছে। প্রকারভেদ : গরু অনেক প্রকার হতে পারে। দুষ্টু গরু, ভালো গরু, পচা গরু। এবার  আমাদের কোরবানির গরুটা দুষ্টু গরু, আগের বছরেরটা ছিল ভালো গরু। শিং ধরলে কিছু বলত না। এটা হাম্বা করে ডাক দিয়ে ওঠে। খাবার : গরু শুধু ঘাস, ভুসি আর পানি খায়। তবে অল্প অল্প ভাতও খেয়ে থাকে।

বাসস্থান : গরু গাবতলীতে থাকে আর বাসার নিচে থাকে।
উপকারিতা : গরুর উপকারিতা অনেক। গরু আমাদের কোরবানির দিন অনেক-অনেক মাংস দেয়।
অপকারিতা : গরুর অপকারিতাও অনেক। যদিও বইতে আছে গরু দুধ দেয়, আসলে গরু দেয় গোবর, গুঁতাও দেয়। বেশি ডিস্টার্ব করলে লাথিও দেয়। তাছাড়া গোবরের গন্ধ অনেক পচা। গুঁতা দিলে ব্যথা লাগে।
উপসংহার : সবশেষ কথা হল, গরুর মাংস খুব সুস্বাদু। খাবার পরে কেবল হাতে চর্বি লেগে থাকে আর দাঁতে মাংস ঢুকে যায়। গরু একটি উপকারী ও প্রয়োজনীয় প্রাণী। কারণ গরু না থাকলে এমন উত্সব হত না। ফলে স্কুলও ছুটি দিত না। অতএব গরু একটি প্রয়োজনীয় প্রাণী।
গরুর রচনা! রিভিউ করছেন Unknown তে 6:56 AM রেটিং:

No comments:

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.