Top Ad unit 728 × 90

>
[]

ব্ল্যাকহোল শুধু নেয় না ফিরিয়েও দেয়


ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা এমন যে ব্ল্যাকহোল কাছাকাছি যা কিছুই পায় বাছ বিচারহীনভাবে তাই গোগ্রাসে গিলে ফেলে, অর্থাৎ প্রচণ্ড মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্যে তা টেনে নিজের ভেতরে নিয়ে নেয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে স্যাগিটারিয়াস নামের যে ব্ল্যাকহোলটি আছে, সেটি কিন্তু মোটেই এমন নয়! অন্যান্য ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলগুলোর মতোই সাধারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই ব্ল্যাকহোলটিও যতটুকু না টেনে নেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ব্যাপারটা অনেকটা ছোট্ট শিশুর মতো, যে কি না যতটুকুও বা খাবার গেলে, তার চেয়ে বেশি থু থু করে বাইরে ফেলে দেয়!

বর্তমান মহাবিশ্বে শুধু ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থানরত ব্ল্যাকহোলগুলোরই উজ্জ্বলতা কেন এত কম তা মহাকাশবিজ্ঞানে এখনও এক বিশাল রহস্য। আমরা জানি অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আলোর গতিবেগের বর্গ ও শক্তির ভর সমান হওয়ার যে সূত্র, অর্থাৎ ব=সপ২ অনুসারেই কোনো বস্তুকে সর্বশেষ পর্যায় পর্যন্ত ভেঙে ফেললে তা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কোয়াসার, অর্থাৎ মহাকাশের অন্যান্য বস্তুর তুলনায় ছোটো কিন্তু অস্বাভাবিক রকমের উজ্জ্বল কিছু বস্তু দেখা যায়, সেগুলোর ভেতরে অবস্থানরত ব্ল্যাকহোলগুলো নিজের আশপাশে দৃশ্যমান এক ধরনের উজ্জ্বল আলো তৈরির পাশাপাশি আশপাশের বস্তুগুলোর প্রায় সবই ভেতরে টেনে নিয়ে নেয়। কিন্তু স্যাগিটারিয়াস-এ বা বর্তমান মহাবিশ্বের ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত অন্যান্য ব্ল্যাকহোলগুলো থেকে বিকিরণ হতে খুব একটা দেখা যায় না। এখন প্রশ্ন হলো কেন হচ্ছে এমন? বিষয়টা কি এমন যে স্যাগিটারিয়াস-এ যে পরিমাণ উত্তপ্ত গ্যাস শোষণ করছে সেই পরিমাণ ঠাণ্ডা গ্যাস, যেটা কোয়াসার্স শোষণ করে রাখে, তা বের করতে পারছে না? এই বিষয়টি জানার জন্য এর মধ্যেই বিজ্ঞানীরা শক্তির অন্যান্য চিহ্ন যাচাই করতে এক্স-রে রশ্মির সাহায্যে ছবি তুলতে নাসার চাঁদের এক্স-রে অবজারভেটরি ব্যবহার করেছেন। অ্যামহাস্টের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটেস জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী কিউ. ড্যানিয়েল ওয়্যাং-এর নেতৃত্বে এই গবেষণার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান জার্নালে। সূর্যের ভরের চেয়ে স্যাগিটারিয়াস-এ’র ভর ৪ মিলিয়ন গুণ বেশি। পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান, যেখানে এক আলোকবর্ষ মানে হলো ৫.৯ ট্রিলিয়ন মাইলের সমান দূরত্ব। তবে পৃথিবী থেকে স্যাগিটারিয়াস-এ’র দূরত্ব যতই বেশি হোক না কেন, এর আশপাশে কী ঘটছে বর্তমান বিশ্বের উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও তা না বোঝার মতো এতটা দূরেও এটি নয়। ব্ল্যাকহোলটির চতুর্দিকে যে গ্যাস, তার তাপমাত্রা লাখ লাখ ডিগ্রি পর্যন্তও বৃদ্ধি পায়। এই নতুন গবেষণার ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা বলছেন যে, ব্ল্যাকহোলটি তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করে যা কিছুই টেনে নেয় তার মাত্র ১% বস্তুর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা থাকে না, এই তথ্যটিকে বলা হচ্ছে ‘ইভেন্ট হরাইজন’।
আর গবেষক ওয়্যাংও বলছেন এমনটাই, ‘মাত্র ১% গ্যাসের কোনো সম্ভাবনা নেই ফিরে আসার, কিন্তু বাকি ৯৯% গ্যাস ব্ল্যাকহোলের ভেতরে গিয়েও আবার ফেরত আসতে পারে।’ কাজেই ব্ল্যাকহোল খালি সবকিছু নিয়েই যায়, কিছু ফেরত দেয় না এই ধারণা অবশেষে বোধ হয় ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।
তিন তারার গ্রহ
সম্প্রতি জার্মানির গবেষকেরা পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে প্রাণের উপযোগী নতুন তিনটি গ্রহ আবিষ্কারের দাবি করেছেন। গ্রহ তিনটি আমাদের সৌরমণ্ডল-সদৃশ একটি সৌরমণ্ডলে রয়েছে। গ্লিজ৬৬৭সি নামে একটি লাল বামন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে এ তিনটি গ্রহ আবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী হবে। ‘গ্লিজ ৬৬৭সি’কে কেন্দ্র করে প্রায় সাতটি গ্রহ আবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন তারা। এর মধ্যে তিনটি গ্রহের তাপমাত্রা এমন যে, সেখানে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি গ্রহ আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড় এবং নেপচুনের চেয়ে ছোট। গ্রহগুলোর আকাশে দিনে তিনটি সূর্য দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ তিনটি গ্রহের আবিষ্কারের সাফল্যে গবেষকেরা আশা করছেন প্রাণের উপযোগী অসংখ্য গ্রহ আমাদের ছায়াপথের মধ্যেই রয়েছে
ব্ল্যাকহোল শুধু নেয় না ফিরিয়েও দেয় রিভিউ করছেন Unknown তে 8:06 AM রেটিং:

Post Comment

কপিরাইট ২০১৬ © টিপস ওয়ার্ল্ড এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন

যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.